সংক্ষিপ্ত উত্তর:
ঈসায়ীরা প্রতিমাপূজা করে না এবং সমর্থনও করে না।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর: ঈসায়ীদের জন্য প্রতিমাপূজা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ একটি কাজ। প্রতিমা পূজা তো দূরের কথা, প্রতিমা বানানো কিংবা প্রতিমার সামনে উৎসর্গীকৃত কোন খাবারও খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। পাককিতাবে লেখা আছে, “…মূর্তির কাছে কোরবানি করা খাবার খাওয়ার বিষয়ে বলছি, আমরা জানি, দুনিয়াতে মূর্তি আসলে কিছুই নয় আর আল্লাহও মাত্র একজন ছাড়া আর নেই। … মূর্তি পূজার অভ্যাস ছিল বলে মূর্তির কাছে উৎসর্গ করা খাবার এখনও পর্যন্ত কেউ কেউ সেই হিসাবেই খেয়ে থাকে, তাদের বিবেক দুর্বল বলে নাপাক হয়” (১করিন্থীয় ৮:১-১৩)।
পাককিতাবে স্পষ্ট লেখা আছে, প্রতিমাপূজা করো না। কেউ যদি প্রতিমা পূজা করে, সে স্পষ্টতই আল্লাহর আদেশ অমান্য করে। ইঞ্জিল শরিফের কোথাও প্রতিমাপূজা সংক্রান্ত কোন নির্দেশনা নেই, বরং তার বিরুদ্ধেই কিতাবের বাণী সোচ্চার হয়ে আছে। আর একটি কথা বলা ভালো যে, কাঠ, বাঁশ কিংবা মাটি দিয়েই যে প্রতিমা বানানো যায় তা-ই যে কেবল প্রতিমা তা নয়, আল্লাহর কালাম অনুসারে সবরকমের অবাধ্যতাই প্রতিমা পূজার সমান। এছাড়া যেকোন লোভ, মাদকাসক্তি যা আল্লাহর চেয়েও বেশি আকর্ষণীয় বলে মনে হয় এবং মানুষ যখন তার জন্য লালায়িত হয় তখনই প্রতিমাপূজা হয়। যদিও হওয়া উচিত নয়, তথাপি এই অবাধ্যতার প্রতিমা পূজা থেকে মাঝেমাঝে ঈসায়ীরাও মুক্ত নয়।
এবাদাতখানায় হজরত ঈসার কিংবা বিবি মরিয়মের বা অন্যকোন মহাপুরুষের মূর্তি রাখা প্রসঙ্গে। প্রকৃত ঈসায়ীরা কখনও কোন মূর্তি তাদের এবাদতখানায় রাখে না। তবে ঈসায়ীদের মধ্যে দুএকটি দল আছে, যারা স্বাকার উপাসনায় বিশ্বাসী, তারা হজরত ঈসার কাল্পনিক ছবি বা মূর্তি এবাদতখানায় ও ঘরে সাজিয়ে রাখে; কেউ কেউ ব্যবসার স্থানেও রাখে। এগুলো কুসংস্কার এবং ভ্রান্ত ধারণামাত্র। পাককিতাবে এগুলোর মোটেই স্থান নেই। আল্লাহর কালামে লেখা আছে, “পূজার উদ্দেশ্যে তোমরা কোন মূর্তি তৈরি করবে না, তা আকাশের কোন কিছুর মতো হোক বা মাটির উপরকর কোনকিছুর মতো হোক কিংবা পানির মধ্যেকার কোনকিছুর মতো হোক। তোমরা তাদের পূজাও করবে না, তাদের সেবাও করবে না। কারণ কেবলমাত্র আমি আল্লাহই তোমাদের মাবুদ। আমার পাওনা এবাদত আমি চাই” (তাওরাত শরিফ, হিজরত ২০:৪,৫ আয়াত)।
উৎস: শত প্রশ্নের হাজার উত্তর, আবু তাহের চৌধুরী, ২০১০