সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হজরত মুহম্মদ নিজেই নিজের বিষয়ে এবং অন্যদের বিষয়ে কী হবে তা জানেন না, তাই তারা তাঁর উম্মত হয় না।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
কোরান শরিফে বলা হয়েছে, “বল, আমি কোন নতুন রসুল নহি। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে … আর আমি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র (সুরা আহকাফ ৪৬:৯)। যিনি নিজের বিষয়েই জানেন না বলেছেন, তবে অন্যদের দায়দায়িত্ব তিনি কীভাবে নেবেন? রোজ কেয়ামতের মাঠে যা যা হবে তার বিবরণ ইঞ্জিল শরিফে খুব পরিষ্কারভাবে বর্ণিত আছে। লেখা আছে, হজরত ঈসা তাঁর উম্মতদের জন্যই ফিরে আসবেন, আর এটাই স্বাভাবিক। লেখা আছে, যারা মারা গেছে, সেদিন তারা পুনর্জীবিত হবে। আর যারা জীবিত আছে, তারা ঈসা মসীহের সাথে সাক্ষাত করার জন্য আকাশে উঠে যাবে। এরপর ঈসা মসীহ সিংহাসনে বসে বিচার করবেন। তিনি গোটা মানব জাতিকে দুই ভাগে ভাগ করবেন; একদল তার ডানদিকে অপর দল তার বাঁদিকে রাখবেন। যারা বাঁদিকে থাকবে তারা হলেন সেই অবিশ্বাসীরাই যারা ঈসার উপর ঈমান আনেনি। তাদের তিনি অনন্ত শাস্তি ভোগ করার জন্য আগুনের হ্রদে ফেলে দেবেন, যেখানে শয়তান ও তার অনুসারীরা থাকবে। যারা ডানদিকে থাকবে, তারা হলেন সেই সব ঈমানদারেরা যারা হজরত ঈসার উপর ঈমান এনেছেন। তাদের তিনি অনন্ত সুখ ভোগ করার নির্দেশ দেবেন এবং তাদের নিয়ে একহাজার বছর রাজত্ব করবেন।
কোরান শরিফ বলে, “স্মরণ কর, যখন ফিরিশতাগণ বলল, ‘হে মারইয়াম! নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাকে তাঁর পক্ষ থেকে একটি কালেমার সুসংবাদ দিচ্ছেন। তাঁর নাম মসীহ মারইয়াম পুত্র ঈসা, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত এবং সান্নিধ্যপ্রাপ্তদের অন্যমত হবে” (সুরা আল-ইমরান ৪৫ আয়াত)। কোরান এবং ইঞ্জিল অনুসারে যাকে আল্লাহ নিজেই দুনিয়া ও আখিরাতে সম্মানিত করেছেন তাঁর উম্মত হওয়াই তো বেশি যুক্তিসংগত।
কোরান শরিফ অনুসারে হজরত মুহম্মদ নিজেই জানেন না তাঁর উম্মতদের ব্যাপারে কী হবে বা না হবে বরং তার আক্ষেপ হবে যে, তিনি তাদের জন্য কিছুই করতে পারবেন না। কোরান শরিফে আল্লাহ হজরত মুহম্মদকে বলতে বলেন, “বল, আমি কোন নূতন রসুল নহি। আমি জানি না, আমার ও তোমাদের ব্যাপারে কী করা হবে। আমি আমার প্রতি যা ওহি করা হয় কেবল তারই অনুসরণ করি। আমি তো এক স্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র” (সুরা আহকাফ ৯ আয়াত)।