তোমার শত্রুর যদি
(তোমার) শত্রুর যদি ক্ষুধা পায়
তাহাকে খাইতে দাও ॥ (২)
যদি তাহার পিপাসা পায় (২)
তাহাকে পানি দাও
যদি তাহার পিপাসা পায় তাহাকে পানি দাও ॥
খারাপীর নিকট হারিয়া যাইও না (২)
(বরং) ভাল দিয়ে খারাপীকে তোমরা জয় কর ॥ (২)”
প্রভু এই যে আছি আমি আমাকে তুমি পাঠাও
প্রভু এই যে আছি আমি আমাকে তুমি পাঠাও
আমার দেহ মন সব তোমাকে দেই তুমি গ্রহণ কর।
প্রভু এই যে আছি আমি আমাকে নিয়োগ করো
আমার আছে যা সব তোমাকে দেই তুমি গ্রহণ করো।
হাল্লেলুইয়া, হাল্লেলুইয়া (২)
আমাকে গ্রহণ করো ॥ (২)”
পরম খোদার ছায়াতে
পরম খোদার ছায়াতে থাকো
ওহে খোদার বান্দারা ॥ (২)
খোদার ছায়ায়, খোদার ছায়ায় রাখলে জীবন
পাপ স্বভাবতো রবে না, স্বভাব রবে না ॥
পাপস্বভাবকে চেনো কি তোমরা
জানো কি তার পরিচয়,
ব্যভিচার অপবিত্রতা লমপটতা শত্রুতা (২)
লোভ ঝগড়া স্বার্থপরতা দলাদলি মাতলামি (২)
ঝগড়াঝাটি, ঝগড়াঝাটি লমপটতা
হিংসা বিদ্বেষ জেনে নাও, তোমরা জেনে নাও ॥
খোদার রূহের ফলগুলি সব ভাল করে জেনে নাও
মহব্বত আনন্দ শান্তি সহ্যগুণ আর ভাল স্বভাব (২)
বিশ্বস্ততা নম্রতা আর
নিজেকে দমন কর না। (২)
খোদার ছায়ায় ————।”
পাপী তাপী ভাইবোনেরা
পাপী তাপী ভাইবোনেরা সুখবরটি নাও (২)
পাপের ক্ষমা পাইতে হলে ঈসার কাছে যাও
পাপী তাপী ভাইবোনেরা সুখবরটি নাও ॥ (২)
ঈসা ছাড়া আর কোন নাম এই দুনিয়ায় নাই,
যে নামেরই ফজিলতে নাজাত পাওয়া যায় ॥ (২)
তাওরাত জবুর ইঞ্জিল কোরআন খুলে দেখে নাও
মনোনীত নাজাতদাতা ঈসা বিনে কি পাও ॥ (২)”
মনের আনন্দে আজ ডাকি তোমারে
মনের আনন্দে
আজ ডাকি তোমারে ॥ (২)
ওহে ঈসা দয়াময়,
যারা তোমার দয়া পায়
তারা ধন্য হয় এই সংসারে ॥
আমার নয়নের জল,
তুমি কখন এসে মুছে দিলে
আমি জানিনা দয়াল। (২)
এখন যে দিকেতে চাই,
সুখের কুল কিনারা নাই
সংসার ভরা সুখের জোয়ারে ॥
আমার জীর্ণ তরী-মাঝে
কখন এসে দাঁড়ালে হে
তুমি ভবের কান্ডারী। (২)
এখন নাই আর কোন ভয়,
ঐ যে সামনে দেখা যায়
তোমার সোনারপুরী অদূরে ॥
শুনি চারিদিকে
তোমার মধুর নামের মঙ্গলধ্বনি
কেবল থেকে থেকে। (২)
আমি ভরিয়া পরাণ,
গাব ঈসা নামের গান,
বড় আশা আছে অন্তারে ॥
করি এই প্রার্থনা
তুমি থেকো সদা হৃদয় মাঝে
দয়াল দূরে যেও না। (২)
আমার নাই সাধন ভজন
দিও নিজ গুণে চরণ
চরণ ছাড়া কোরো না মোরে ॥”
কি খেয়ে তুমি বাঁচিবে কি পরে দহ ঢাকিবে
একদিন খোদার মসীহ্ গালীলের পাহাড়ে বসে আছেন
সামনে তাঁহার সহাবায়ে কেরামগণ,
তখন খোদার মনোনীত নাজাতদাতা
সাহাবীদেরকে কি বলে হেদায়েত
দান করছিলেন তা কি জান তোমরা?
(মুখ) কি খেয়ে তুমি বাঁচিবে কি পরে দহ ঢাকিবে
সে বিষয় চিন্তা করনা, সে বিষয় চিন্তা করনা ॥ (২)
জীবনটা কেবল খাওয়া দাওয়ার ব্যাপার সেতো নয়তো নয় (২)
দেহটা কেবল কাপড়ের জন্যে সৃষ্টি কভু নয় সে নয় (২)
বনের পাখীদের দেখ তারা বীজও বপন করেনা
তারা ফসল কভু কাটেনা
তবু খোদা তাদের আহার যোগান ॥ (২)
কাপড় চোপড়ের জন্যে কেন তোমরা চিন্তা কর?
মাঠের ফুলগুলির কথা ভাবিয়া দেখ
সেগুলি কেমন করিয়া বাড়িয়া উঠে
তাহারা পরিশ্রম করেনা সুুতাও কাটেনা
কিন্তাু আমি তোমাদেরকে বলিতেছি
সোলায়মান নবী এতো জাক জমকের মধ্যে থাকিয়াও
এইগুলির একটার মত নিজেকে সাজাইতে পারেন নাই।
মাঠের যে ঘাস আজ আছে
আর আগামীকাল তাহা চুলায় ফেলিয়া দেওয়া হইবে
তাহা যখন খোদা এইভাবে সাজান
তিনি যে তোমাদের নিশ্চয়ই সাজাইবেন
তাহাতে কোনই সন্দেহ নাই।
তোমাদের যাহা প্রয়োজন
তাহা প্রমময় খোদাতো জানেন
তাই সে বিষয় তুমি ভেবনা। (২)
তোমরা প্রথম খোদার রাজ্যের বিষয়েতে ব্যস্তহও (২)
খোদার ইচ্ছামত তোমরা জীবন যাপন করে যাও (২)
তাহলে তোমাদের খোদা তোমাদের যা যা প্রয়োজন
তাহা তোমাদেরকে দিবেন
তাহাতে সন্দেহ নাই নাই ॥ (২)”
ওগো খোদা শুকরিয়া
ওগো খোদা শুকরিয়া, ওগো খোদা শুকরিয়া
অনন্তাকাল আদায় করব, তোমার শুকরিয়া (২)
ওগো খোদা শুকরিয়া ॥
আমার মাবুদ যিনি, তিনি প্রশংসিত (২)
তাঁহার মহিমার কথা কভু কেউতো জানে না ॥
তোমার মহিমা হবে বংশ ব্যাপীয়া (২)
তোমার কুদরতের সাক্ষী রবে দুনিয়া জুড়িয়া ॥
আমার মাবুদ কৃপাময় অতি স্নেহশীল (২)
দয়াতে মহান তিনি পূর্ণ প্রেম দিয়া ॥”
ঈসার কাছে যাইবো
ঈসার কাছে যাইব নূরেতে নূরেতে
তাঁহার সঙ্গে চলিব উজ্জ্বল নূরেতে
গুনাহের ক্ষমা পাইব নূরেতে নূরেতে
গুনাহ্ সমস্ত ছাড়িব মাবুদের নূরেতে ॥
(মুখ) আমরা চলি নূরেতে নূরেতে নূরেতে
আমরা চলি নূরেতে, মাবুদের নূরেতে ॥
ঈসার কার্য করতে চাই নূরেতে নূরেতে
বল ও শক্তি আমি পাই মাবুদের নূরেতে
শয়তান কি আর করিবে নূরেতে নূরেতে
মোর কি নিকট আসিবে মাবুদের নূরেতে ॥
যখন মৃত্যু আসিবে নূরেতে নূরেতে
আমার ভয় না হইবে মাবুদের নূরেতে
বেহেশ্তে প্রবেশ করিব নূরেতে নূরেতে
চিরকাল থাকিব মাবুদের নূরেতে ॥”
ঈসার আগমন ত্বরায় হইবে
ঈসার আগমন ত্বরায় হইবে (২)
রাজ্যের বিপক্ষে কত রাজ্য উঠিবে
জাতির বিপক্ষে জাতি সর্বত্র উঠিবে ॥ (২)
মহা ভূমিকমেপ কত লোকসান হইবে।
মহামারী দুর্ভিক্ষেতে কত প্রাণ যাইবে ॥ (২)
অধার্মিকতায় প্রেম শীতল হইবে
ভন্ড শিক্ষকেরা কত যে ভূলাইবে ॥ (২)
সমুদ্রে তরঙ্গ গর্জিয়া উঠিবে।
ঘূর্ণি বার্তায় লোকের প্রাণ উড়ে যাইবে ॥ (২)
ইঞ্জিল প্রচার যবে শেষ হইবে
আদম সন্তান তখন স্বদলে আসিবে ॥ (২)
উর্দ্ধ দৃষ্টি কর, মস্তক তোল
নাজাতের দিন তোদের আসিয়া পড়িবে ॥ (২)”