সংক্ষিপ্ত উত্তর:
গুনাহ থেকে নাজাতের উপায় হলো আল্লাহকে জানা এবং তিনি যে উপায় দিয়েছেন তাতে ঈমান এনে তা অনুসরণ করা।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
গুনাহ থেকে নাজাতের প্রকৃত উপায় জানতে হলে, প্রথমত জানতে হবে গুনাহ কী? গুনাহ মানে, আল্লাহর কাছ থেকে পৃথক হওয়া। গুনাহ হলো আল্লাহর অবাধ্যতা, যার পরিণাম মৃত্যু। এই মৃত্যু থেকে রক্ষা পাওয়াই হলো নাজাত। আল্লাহ পবিত্র এবং ধার্মিক। তিনি কখনও পাপ বা গুনাহ সহ্য করতে পারেন না। বেহেশতে ফেরেশতা যখন আল্লাহর অবাধ্য হয়ে গুনাহ করেছিলেন তখন আল্লাহ সেই প্রধান ফেরেশতার ক্ষেত্রে অনন্ত শাস্তির ব্যবস্থা করেছেন। সেই ফেরেশতা ইবলিস বা শয়তান নামে আখ্যাত। আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করে বলেছিলেন, তিনি চমৎকার জিনিস সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু হজরত আদম অবাধ্য হয়ে, সেই চমৎকারিত্ব নষ্ট করেছেন। আল্লাহর কাছ থেকে দূরে সরে গেছেন। আল্লাহ আদমকে সৃষ্টি করার পর ফুঁ দিয়ে প্রাণবায়ু এবং আত্মা দিয়েছিলেন কিন্তু আদম অবাধ্যতার মধ্যদিয়ে মৃত্যুকেই বেছে নিয়েছেন। তাঁরই জন্য আজ মানুষ মরে যায়, গাছপালা ধ্বংস হয়, রোগব্যধিতে আক্রান্ত হয় মানুষ, পশু ও গাছপালা। হিংস্রতার জন্ম এই অবাধ্যতার শাস্তি থেকে। সমস্ত রকমের অন্যায়, জোরজুলুম এবং ক্ষয়ক্ষতি ও দুঃখ-কষ্টের উৎপত্তি এখান থেকেই। আল্লাহ রহমানুর রাহিম। তিনি মানুষকে ভালোবাসেন। মানুষকে উদ্ধার করার জন্য ব্যবস্থা করে, হজরত ঈসা মসীহকে এই দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। আল্লাহ তাঁর কালামে বলেছেন, “যদি তুমি ঈসাকে প্রভু বলে মুখে স্বীকার কর এবং দিলে ঈমান আন যে, আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন, তবেই তুমি নাজাত পাবে” (ইঞ্জিল শরিফ, রোমীয় ১০:৯)। হজরত ঈসা নিজের মুখে বলেন, “আমি আপনাদের সত্যই বলছি, যে কেউ আমার উপর ঈমান আনে সে তখনই অনন্ত জীবন পায়” (ইউহোন্না ৬:৪৭)
অতএব, নাজাত পাবার প্রকৃত উপায় হজরত ঈসার উপর ঈমান এনে, তাঁকে প্রভু বলে স্বীকার করা এবং হৃদয়ে গ্রহণ করা।