পাক-কিতাবের আলোকে রূহানিক জগত

৳ 0

স্টক শেষ

বিবরণ

পাক-কিতাব থেকে নেওয়া সাতটি পাঠ
সূচিপত্র: 

  • ভুমিকা
  • ১ পাক-কিতাবে রূহানিক জীব
  • ২ পাক-কিতাবের কিছু নিষেধাজ্ঞা
  • ৩ আল্লাহ্‌র রাজ্যের তাৎপর্য
  • ৪ শয়তান, দুনিয়া এবং গুনাহ্‌-স্বভাব
  • ৫ শয়তানকে রুখা দাঁড়ানো
  • ৬ গণনা এবং ঐশী দিকনির্দেশনা
  • ৭ সুস্থতা লাভ

আমরা মানব জাতি পঞ্চ-ইন্দ্রিয়ের দ্বারা আমাদের এই পৃথিবীর সমস্ত কিছু অনুভব করি। আমাদের কান, চোখ, নাক, জিভ্‌, এবং স্পর্শ দিয়ে আমরা এই পৃথিবীর প্রাকৃতিক নিয়ম বুঝে নিই। আমরা এমন এক পৃথিবীতে বাস করি যেটা আমাদের কান, চোখ, নাক, জিভ্‌, এবং স্পর্শ দিয়ে আমরা অনুভব করি; একটি পৃথিবী যেটা প্রাকৃতিক নিয়মের পরিচালনায় থাকে। এটা/সেটি হচ্ছে আমাদের এই পরিচিত প্রত্যক্ষ স্পৃশ্য জগত। কিন্তু বলাই বাহুল্য যে, এই জগতের পাশাপাশি আর একটি সমকালীন বাস্তব জগত রয়েছে যার মধ্যে আমরা বাস করছি; জীবনের আরেকটি মাত্রা যার গুরুত্ব একই। সেটা হচ্ছে অদৃশ্য রূহানিক জগতটি। মানব জাতি দেহ ও রূহ্‌ উভয়েই তৈরী; আর এই কারণে আমরা দৈনন্দিন বাস্তবতার উভয় স্তরে চলাফেরা করি। বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রার কারণে আমাদের এই প্রাকৃতিক জগতের নিয়ম-সূত্র সম্পর্কে আমরা জ্ঞাত হয়েছি, তবে আনেক ক্ষেত্রে রূহানিক জগতের সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান কমে গেছে। আল্লাহতা’য়ালার পাক-কিতাব সে রূহানিক জগত সম্পর্কে কি বলে তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছে এক বইটিতে। এই দৃশ্যমান দুনিযায় আমরা কিভাবে জীবন যাপন করবো তার দিকনির্দেশনা দিতে মাবুদ ‌আল্লাহ তাঁর পাক কালাম দিয়ে কি বলেছেন ঠিক সে বিষয়ই এখানে আলোকপাত করা হয়েছে সাথে সাথে আমাদেরকে আশির্বাদ করতে এবং সুরক্ষা করতে এবং রূহানী জগতে বসবাস করতে আমাদেরকে কি করতে হবে সে বিষয়ে নির্দেশনা দিযেছেন।

প্রত্যেক সমাজ ও জাতি এই রূহানী দুনিয়ার জীব এবং তার কার্যকলাপের বাস্তবতার সম্পর্কে জানেন। উদাহরণসরূপ, থাইল্যান্ডে তাদেরকে বলা হয় ‘নাট্‌’, ‘পী’, ‘টুট্‌সাওয়ান,’ ও ‘উইনিয়ান’– অন্য দেশে তাদের আলাদা নাম রয়েছে। পশ্চিমাতেও অনেকে বিশ্বাস করে spirit guides, গণক, পরীতে। এখানে বাংলাদেশে শোনা যায় জ্বীন, পরী, ভুত-প্রেত, দেব-দানব চোরা চুন্নী মামদোভুত এবং এরকম আর বহু ধরনের শক্তির সম্পর্কে।  অনেক দেশেতে আবার বিশ্বাস আছে বিভিন্ন ধরণের নৈর্ব্যক্তিক রূহানী শক্তি সম্পর্কে, যেমন বদনজরের ক্ষমতা, আরবী মন্ত্র, নকশা ও দোয়ার ক্ষমতা, বা গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব।  এই ধরনের রূহানী জীব ও শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করতে সমাজে দেখা যায় ওঝা, কবিরাজ, হুজুর, জ্যোতিষী এবং গণক। এরা দাবি করে যে, তাবিজ ও মন্ত্রপাঠ দিয়ে তারা এই রূহানীক জগত নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

বলাই বাহুল্য যে রূহানিক জগত সম্পর্কে অনেক কুসংস্কার এবং হাতুড়েগিরি আছে, কিন্তু এর পিছনেও বাস্তব একটি রূহানিক জগত সত্যিই আছে।  অনেকে বলে, আধুনিক বিজ্ঞানের যুগ এসেছে এবং এইসব ‘রূহানিক’ কুসংস্কার ছাড়তে হবে।  কিন্তু পশ্চিমা দেশগুলোতে যেখানে আগে ‘রূহানিক’ আলোচনা তুচ্ছ করা হত এখন জনগণ রূহানী জগতের সত্যতাকে বিশ্বাস করে সেখানে ফিরে এসেছে। বিজ্ঞান রূহানী বাস্তবতাকে অস্বীকার

এই রূহানী জগত সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়ার জন্য আল্লাহর কালামে দেখতে হবে। শুরুতে জানি যে, আল্লাহতা’য়ালার নাম ‘‘রাব্বুল আল-আমীন’’ অর্থাৎ ‘সমস্ত কিছুর প্রভু’। আল্লাহ্‌ ও তার কালাম ও রূহ্‌কে ব্যাতীত, জগত যা কিছু আছে সবই আল্লাহ্‌র সৃষ্টি।  ফেরেশতা, শয়তান, ইবলিস ,জ্বীন, পরী , মানুষ তথা যা কিছু আছে তারা সবাই আদিতে আল্লাহর দ্বারা সৃষ্ট। এই রূহানী শক্তি নিয়ে আল্লাহর কালাম কি বলে চলুন এবার আমরা তা দেখতে চেষ্টা করি ।

অন্যান্য তথ্য

লেখক

পৃষ্ঠা

প্রকাশকাল

Digital Availability