সংক্ষিপ্ত উত্তর:
না, ঈসায়ী হলে নারী, বাড়ি, গাড়ি পাওয়া যায় না।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
ঈসায়ী হলে নারী, বাড়ি, গাড়ি পাওয়া তো যায়ই না বরং ক্ষেত্রবিশেষ যা আছে তাও ত্যাগ করতে হয়। সাধারণত ঈসায়ী হওয়ার পর পারিবারিক ও সামাজিক চাপ এতই বৃদ্ধি পায় যে, কোন কোন ঈসায়ী তার যা আছে তা-ও ত্যাগ করে ঈমানের পথে চলতে বাধ্য হয়। ঈসায়ী হওয়ার বিষয়টি বাহ্যিক জিনিস পত্রের উপর নির্ভর করে না, নির্ভর করে রুহানি অবস্থার উপর। মানুষের জীবনে নারী, বাড়ি কিংবা গাড়িই বড় কথা নয়, বড় কথা হলো নাজাত, অনন্ত জীবনের নিশ্চয়তা ও সুখ। হজরত ঈসার উপর ঈমান আনার মধ্য দিয়ে, মানুষ সেই নিশ্চয়তা ও সুখ লাভ করে। সুতরাং তখন পার্থিব জীবনের ভোগবিলাস তার কাছে বড় হয়ে দেখা দেয় না।
একথাও ঠিক যে, ঈসায়ী হওয়া মানে আল্লাহর সন্তান হওয়া এবং আল্লাহর সন্তানকে আল্লাহ ্িনজেই দেখাশোনা করেন। ফলে ঈসায়ী হবার পর যে কেবল দুঃখ-কষ্ট নেমে আসে তা নয়, তার সাথে আল্লাহর অপার রহমতও তার উপর বর্র্তায়। তিনি আল্লাহর রহমতেই তার প্রয়োজনীয় জিনিস তিনি পান। আল্লাহ আকাশ থেকে তাঁর বান্দাদের জন্য দান ফেলে দেন না, তিনি অন্য বান্দাদের অন্তরে কথা বলেন এবং সেইভাবে অন্য কোন ঈসায়ী ঈমানদার আল্লাহর সাহায্য পায়। এই দিক থেকে কোন ঈসায়ী আর এক ঈসায়ীকে দয়াপরবশ হয়ে কিছু দিতেও পারেন। প্রথমিক যুগে সমাজের ঈমানদারেরা পরস্পর পরস্পরকে সহায়তা করতেন, জীবনের সকল কিছুতে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকতেন।