সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হ্যাঁ, ঈসায়ীরা জাতীয় দিবসগুলো পালন করে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রশ্ন। জাতীয় দিবসগুলো কি সত্যই ঈসায়ীরা পালন করে?
ইহুদিজাতির কোন এক প্রশ্নের উত্তরে হজরত ঈসা শিক্ষা দিয়েছিলেন; যা সম্রাটের তা সম্রাটকে দাও আর যা আল্লাহর তা আল্লাহকে দাও। এই সামাজিক জীবনে বাঁচার জন্য আমাদের যা দরকার তা শৃঙ্খলার তাগিদে মানা উচিত। আল্লাহর কালাম বলে, “যা সত্য, যা উপযুক্ত, যা সৎ, যা খাঁটি, যা সুন্দর, যা সম্মান পাবার যোগ্য, মোটকথা যা ভালো এবং প্রশংসার যোগ্য, সেইদিকে তোমরা মন দাও” (ইঞ্জিল শরিফ, ফিলিপীয় ৪:৮)। ঈসায়ীরা বাংলাদেশে বাস করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অনেক ঈসায়ী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে। সেই কাজ তখনকার প্রেক্ষাপটে তাদের জন্য উপযুক্ত ছিল। ঠিক তেমনি দেশের সুনাগরিক হিসাবে সরকার যা তাদের কাছ থেকে আশা করে, তা পালন করা উচিত। আল্লাহর সম্মান আল্লাহকে দেওয়া ব্যতীত সরকার নাগরিক হিসাবে তাদের কাছ থেকে যা ন্যায়সংগতভাবে দাবি করে, তা ঈসায়ীদের পালন করা উচিত। অতএব, জাতীয় দিবসগুলো যেহেতু আমাদের সরকারই প্রজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে জারি করে, সেহেতু নাগরিক হিসাবে ঈসায়ীদের তা পালন করা উচিত। এছাড়া জাতীয় দিবসগুলো সমাজ চেতনামূলক এবং স্বদেশপ্রেম উদ্দীপক। অতএব, জাতীয় দিবসগুলো পালন করা একজন ঈসায়ীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।