সংক্ষিপ্ত উত্তর:
ঈসায়ীরা যেকোন দেশের নাগরিক হতে পারে, তবে আসল কথা হলো, তারা চূড়ান্তভাবে বেহেস্তের নাগরিক।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
জনৈককবি বলেন, ‘দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।’ আমাদের দেশের সাধারণ লোকদের ধারণা হলো ঈসায়ীরা বিদেশী, কোন কারণে এদেশে এসেছে, কিছুদিন পর চলে যাবে। এর কারণও সংগত। প্রথমত, এই ধর্মীয় বিশ্বাস মূলত আমাদের দেশের নয়, বাইরে থেকে আগত। দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশে যে মণ্ডলী স্থাপিত হয়েছে, তাদের চালচলন, রীতিনীতি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের দেশের আদলে নয়; অনেকটা বিদেশী। তাদের নাম-ধাম, কথা বলার ধরণ, পোশাক-পরিচ্ছদ, চাল-চলন প্রায় সবকিছুই যেন অন্যরকম। তৃতীয়ত, মণ্ডলীর লোকদের সাথে কোন না কোন সময়, কোন লাল কিংবা সাদা লোককে দেখা যায়। চতুর্থত, তারা সাধারণ লোকদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছল। আমাদের দেশের খেটে খাওয়া মানুষের দল থেকে এমনকি নিম্ন ধর্মবর্ণ থেকে আসলেও ভালো চাকরি ও সুযোগ সুবিধা পেয়ে, তারা এমন পর্যায়ে উঠে যায় যে, তাদের জীবন-যাপন বদলে যায়। আর তারা সাধারণ মানুষের চেয়ে আলাদা হয়ে যায়। ফলে, মানুষ মনে করে এরা বিদেশী লোক।
কিন্তু এমন মনে করার কোন কারণ নেই যে, বাংলাদেশে বসবাসকারি সকল ঈসায়ীরা বিদেশী। অনেকের ধারণা, ঈসা নবির উম্মত হলে, তারা ইউরোপ আমেরিকার নাগরিকত্ব লাভ করে। কেউ কেউ হয়তো কোন কারণে অন্যকোন দেশের নাগরিক হতে পারে, যা যেকোন ধর্মের লোক করতে পারে কিন্তু তাতে ধর্মবিশ্বাসের কোন সম্পর্ক নেই।