সংক্ষিপ্ত উত্তর:
না, ঈসায়ী হলে নাম পরিবর্তন করতে হয় না।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
মানুষের নাম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আল্লাহ আদমের নাম রেখেছিলেন। আদম মানে মাটি, আদমকে মাটি দিয়ে তৈরি করেছিলেন বলে তার নাম আদম রাখা হয়েছিল। আল্লাহ সব জিনিস সৃষ্টি করার পর আদমের কাছে নিয়ে এসেছিলেন যেন তিনি তাদের প্রত্যেকের নাম রাখেন। আর আদম বুদ্ধিমত্তার সাথে সকল জিনিসের নাম রেখেছিলেন।
হজরত ঈসা শিমোনের নাম পরিবর্তন করে কৈফা বা পিতর রেখেছিলেন, যার মানে হলো পাথর। তাই বলে তিনি সব সাহাবিদের নাম পরিবর্তন করেননি। আগেকার ঈসায়ীদের মধ্যে কিতাবের চরিত্রের সাথে মিল রেখে নাম রাখার প্রবণতা দেখা যেতো। এখনও কেউ কেউ কিতাবের চরিত্রের সাথে মিল রেখে নাম রাখতে পছন্দ করে। নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম রাখা বা না রাখা একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। হজরত ঈসা কোথাও একথা বলেননি যে, তাঁর উপর ঈমান আনার পর নাম পরিবর্তন করতে হবে। তিনি গুরুত্ব দিয়ে বলতেন যে মন পরিবর্তন করতে হবে, নাম নয়। অতএব, কোন ঈসায়ীর জন্য নাম পরিবর্তন করা জরুরি কোন বিষয় নয়।