সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হজরত পৌলের কথা কিতাবুল মোকাদ্দস এবং হজরত ঈসার শিক্ষার সাথে সংগতিপূর্ণ ও শিক্ষামূলক, তাই তা বিশ্বাস করে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
ইঞ্জিল শরিফের মধ্যে হজরত পৌলের লেখা সিপারাই সবচেয়ে বেশি। তিনি মানবজীবনের প্রয়োজনীয় প্রত্যেক বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন, অনেক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান দিয়েছেন, ঈসায়ী ঈমানের মূলসত্যকে ঈমানদারগণের কাছে জীবন্ত করে তুলেছেন। তাঁর শিক্ষার মধ্যদিয়ে ঈসায়ী ধর্মতত্ত্বের প্রধান প্রধান দিকগুলো উন্মোচিত হয়েছে। আল্লাহ, হজরত ঈসা, পাকরুহ, সমাজ, সমাজের নেতৃত্ব, সামাজিক জীবন, ঈসায়ী জীবন ইত্যাদি কোনটাই তাঁর শিক্ষা থেকে বাদ পড়েনি।
একসময় হজরত পৌল ছিলেন ঈসায়ীদের অত্যাচারী। তিনি ঈসায়ীদের ধরে ধরে হত্যা করার নেতৃত্ব দিতেন। তিনি স্তিফান নামক একজন নামকরা ঈমানদারকে হত্যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। একদিন হজরত ঈসা তাঁকে দর্শন দেন, তিনি অন্ধ হয়ে যান। এই সময় তিনি হজরত ঈসাকে দেখতে পান এবং তাঁর কাছ থেকে সরাসরি সাহাবিত্ব লাভ করেন। অতঃপর হজরত ঈসার আদর্শ প্রচার এবং শিক্ষা দেবার জন্য তিনি আজীবন দুঃখ-কষ্ট ও অত্যাচার ভোগ করেন। শেষে এই বিশ্বাসের জন্য তাঁকে হত্যাও করা হয়। হজরত ঈসা যে কারণে দুনিয়াতে এসেছিলেন এবং যে বিষয়ে তিনি মানুষকে শিক্ষা দিয়েছিলেন হজরত পৌল তারই ব্যাখ্যা দেন। অতএব, হজরত পৌলের শিক্ষা ঈসায়ীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।