সংক্ষিপ্ত উত্তর:
কোরানের দৃষ্টিতে হজরত ঈসা আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত পূর্ববর্তী নবির সমর্থক ও পথ প্রদর্শক।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
সুরা আলে-ইমরান (৩:৪৯) অনুসারে হজরত ঈসা আল্লাহ কর্তৃক প্রেরিত হয়েছেন যা ইঞ্জিল শরিফের বহু নিকট ভবিষ্যতবাণীর সাথে মিলে যায়। কোরান শরিফে হজরত ঈসাকে আল্লাহর রসুল ও তাঁর বাণী বলেও অবহিত করা হয়েছে (সুরা নিসা ৪:১৭১)। রসুল মানে পথপ্রদর্শক। এ থেকে বোঝা যায়, হজরত ঈসা মানুষের পথপ্রদর্শক হিসাবে এসেছিলেন শুধু তা নয়, তিনি আল্লাহর কালাম হয়ে নেমে এসেছিলেন। ইঞ্জিল শরিফও একই কথা বলে। ইউহোন্না ১:১ আয়াতে বলা হয়েছে, প্রথমে কালাম ছিলেন আর কালাম আল্লাহর সঙ্গে ছিলেন। একই অধ্যায়ের ১৪ আয়াতে বলা হয়েছে, সেই কালাম মাংসে রূপান্তরিত হয়ে, দুনিয়াতে আসলেন। ব্যাখ্যাটা কোরান শরিফে দেওয়া হয়নি।
কোরান শরিফে হজরত ঈসার আশ্চর্য জন্ম এবং অলৌকিক জীবন যাপন সম্পর্কে অনেক কথা বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি জন্মের পরপর শিশু অবস্থায় কথা বলতেন, পাখি বানিয়ে জীবন দিতেন, অসুস্থকে সুস্থ করতেন এবং মৃত মানুষকে জীবন দিতেন। কোরানের দৃষ্টিতে হজরত ঈসা একজন অসাধারণ নবি।