সংক্ষিপ্ত উত্তর:
মধ্যপ্রাচ্যের ঈসায়ী ঈমানদারগণ নিজেদের ঈসায়ী হিসাবে পরিচয় দেন।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর: ইঞ্জিল শরিফ গ্রিক ভাষায় রচিত হয়। হজরত ঈসার মাতৃভাষা অরামিক হলেও তিনি গ্রিক ভাষায়ও কথা বলতেন এবং শিক্ষা দিতেন। গ্রিক ভাষায় হজরত ঈসার নাম ‘ইয়েসো’। এথেকে আরবিতে ঈসা হয়েছে। যারা ঈসাকে নাজাতদাতা হিসাবে গ্রহণ করেছে, তারা ঈসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়। কোরান শরিফে ঈসায়ীদের নাসারা বলা হয়েছে। নাসরতে জন্ম গ্রহণ করার কারণে হজরত ঈসাকে নাসরতীয় বলা হতো। এই নাসরতীয় ঈসার অনুসারী হিসাবে ঈসায়ীদের নাসারা বলা হতে পারে। হজরত ঈসার আর একটা নাম ছিল খ্রিস্ট আর সেই কারণে যারা হজরত ঈসাকে অনুসরণ করতো, তাদের খ্রিস্টান বলা হতো। কালক্রমে মধ্যপ্রাচ্যে হজরত ঈসার উম্মতেরা ঈসায়ী হিসেবে পরিচিত হয়।
উৎস: শত প্রশ্নের হাজার উত্তর, আবু তাহের চৌধুরী, ২০১০