সংক্ষিপ্ত উত্তর:
এই অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে আমরা আমাদের ঈমানকে প্রকাশ করি।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
ঈসায়ী জীবনে তরিকাবন্দির গুরুত্ব অপরিসীম। আমরা যে হজরত ঈসা মসীহের উপর ঈমান এনেছি, তা এই তরিকাবন্দি অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দেখানো যায় বা প্রকাশ করা যায়। ইঞ্জিল শরিফ বলে, “এই কথা কি জানো না যে, আমরা যারা মসীহ ঈসার মধ্যে তরিকান্দি নিয়েছি, আমরা তাঁর মৃত্যুর মধ্যে অংশ গ্রহণ করেই তা নিয়েছি? আর সেই জন্য সেই তরিকারন্দির দ্বারা মসীহের সঙ্গে মরে আমাদের দাফন করা হয়েছে, যেন পিতা তাঁর মহাকুদরতি দ্বারা যেমন মসীহকে মৃত্যু থেকে জীবিত করেছিলেন, তেমনি আমরাও যেন নতুন জীবনের পথে চলতে পারি” (ইঞ্জিল শরিফ, রোমীয় ৫:৩,৪)। হজরত ঈসা মৃত্যু বরণ করেছিলেন, কবরে ছিলেন এবং তৃতীয় দিন কবর থেকে পুনরুত্থিত হয়েছিলেন। তরিকাবন্দির মাধ্যমে হজরত ঈসার সাথে নিজের একাত্মতার কথা আমরা ঘোষণা করি। হজরত পৌল বলেন, “আমাকে মসীহের সঙ্গে ক্রুশের উপরে হত্যা করা হয়েছে। তাই আমি আর জীবিত নই, মসীহই আমার মধ্যে জীবিত আছেন। এখন এই শরীরে আমি যে জীবন কাটাচ্ছি তা ইব্নুল্লাহর উপর ঈমানের মধ্যদিয়েই কাটাচ্ছি। তিনি আমাকের মহব্বত করে আমার জন্য নিজেকে দান করেছিলেন” (গালাতীয় ২:২০) এই চরম সত্যটি কেবল তরিকাবন্দির মধ্য দিয়ে প্রকাশ করা যায়।