সংক্ষিপ্ত উত্তর:
না, তিনি মৃত্যুবরণ করবেন না, করতে পারেন না। কারণ তিনি মৃত্যুকে জয় করেছেন।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
হজরত ঈসা নিষ্পাপ, তার মৃত্যু হতে পারে না। অন্যদের গুনাহর কাফফারা হিসাবে তিনি নিজেকে মৃত্যুর হাতে সমর্পণ করলেও মৃত্যুকে জয় করে তিনি কবর থেকে উঠেছেন। তিনি আর মৃত্যুবরণ করবেন না। তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন তবে সম্পূর্ণ ইঞ্জিল শরিফই মিথ্যা হয়ে যাবে। ইঞ্জিল শরিফে পরিষ্কার এ কথা লেখা আছে যে, “তিনি যখন দ্বিতীয়বার আসবেন তখন গুনাহের জন্য মরতে আসবেন না, বরং যারা তাঁর জন্য আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করে আছে, তাদের সম্পূর্ণভাবে নাজাত করাবার জন্য আসবেন” (ইবরানী ৯:২৮)। একথা আবারও জোর দিয়ে বলছি যে, মানুষের গুনাহর কাফফারা দিতে গিয়ে তিনি একবার মৃত্যুবরণ করেছিলেন। সেই মৃত্যু তাঁর নিজের গুনাহর জন্য মৃত্যু নয়, বরং আমাদের গুনাহর জন্য মৃত্যু। তার প্রমাণস্বরূপ তিনি তৃতীয়দিন কবর থেকে জীবিত হয়ে উঠেছিলেন। সবচেয়ে বড়কথা, পুনরুত্থান হলো ঈসায়ী জীবনের ভিত্তি। আর সেই একই মৃত্যু যদি তিনি আবার বরণ করেন তবে ইঞ্জিল শরিফের শিক্ষাই বিফল হবে। তাঁর মৃত্যু হওয়া তো দূরের কথা বরং পুরো মৃত্যুর ব্যবস্থাকেই তিনি ধ্বংস করবেন। অর্থাৎ হজরত ঈসার উপর যারা ঈমান আনে, তাদের আর কখনও মৃত্যু হবে না। কিতাবে লেখা আছে, “শেষ শত্রু যে মৃত্যু, তাকেও ধ্বংস করা হবে” (১ করিন্থীয় ১৫:২৬)। হজরত আদম এবং তাঁর রক্তে জন্মগ্রহণকারী প্রত্যেকের মৃত্যু হবে, কারণ হজরত আদম মাটি দিয়েই তৈরি ছিলেন কিন্তু হজরত ঈসা ছিলেন মাটি ও রুহের তৈরি। তিনি বেহেশত থেকে এসেছিলেন আর বেহেশতেই চলে গিয়েছেন (১ করিন্থীয় ১৫:৪৫-৪৮)। কিতাবি সত্য হলো, হজরত ঈসা দ্বিতীয়বার ফিরে আসার পর ১০০০ (্এক হাজার) বছর রাজত্ব করবেন; সেই রাজত্ব শান্তির রাজত্ব। সেই রাজ্যের রাজা হবেন তিনি নিজে এবং প্রজা হবেন তাঁর উম্মতেরা।
তারপরে আসবে শেষবিচার। আর সেই বিচারে কেউ অনন্ত দোজখের জন্য এবং কেউ অনন্ত বেহেশতের জন্য মনোনীত হবেন। আল্লাহর কালাম বলে, মানুষের জন্য একবার মৃত্যু তারপর বিচারের ব্যবস্থা আছে। ঈসায়ীদের বিশ্বাস, হজরত ঈসা একবার মারা গিয়েছিলেন। তিনি মৃত্যু থেকে জীবিত হয়ে উঠেছেন। তিনি আর কখনও মারা যাবেন না বরং অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন।