সংক্ষিপ্ত উত্তর:
পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি লোক ঈসা নবির উম্মত তথা ঈসাতে বিশ্বাসী।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
সংখ্যার দিক বিচার করে, কোন ধর্মকে কিংবা ধর্মের ভালমন্দকে বিচার করা যায় না। কেননা অনেক সময় দেখা যায় বেশিরভাগ লোকই কোন কোন খারাপ জিনিসকেই ভাল বলে স্বীকৃতি দেয়, তাই বলে সেই খারাপটি ভাল হয়ে যায় না। যেমন কিতাবে লেখা আছে- সবাই পাপ করেছে, তাই বলে কি পাপ ভাল জিনিস হবে। তবু অনেকে পৃথিবীর জনসংখ্যার ভিত্তিেেত কোন্ জাতির কত লোক আছে তা জানতে চায়। বিশেষত ঈসায়ীদের সংখ্যা কত তা জানতে চায়। পৃথিবীর জনসংখ্যার বিচারে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি লোক ঈসায়ী, দ্বিতীয় মুসলমান তৃতীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী, চতুর্থ নাস্তিক এবং পঞ্চম পৌত্তলিক। একথা বলা বাহুল্য যে, অনেকে ঈসায়ী পরিবারে জন্মের কারণে নিজেদের ঈসায়ী হিসাবে পরিচয় দেয়। এছাড়া অনেকে বংশগত এবং পরিবারগতভাবে ঈসায়ী কিন্তু তারা ঈসা মসীহের আদর্শ অনুসারে চলে না। আবার ঈসায়ীদের মধ্যে রয়েছে নানা মত ও মতবাদ। কোন কোন ঈসায়ী আছে তারা কিতাবের আয়াতকে নিজেদের দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারে ব্যাখ্যা করে এবং সেভাবে জীবন যাপন করতে চেষ্টা করে। অবশ্য এই অবস্থা প্রত্যেক ধর্মের কিংবা যেকোন মতবাদী দলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। এতদসত্তেও পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি লোক ঈসা মসীহকে এবং তাঁর নির্দেশিত পথকেই সঠিক বলে গ্রাহ্য করে।
দেশ ও মহাদেশ হিসেবে বিবেচনা করলেও ইউরোপ মহাদেশের প্রায় সকল দেশ, উত্তর আমেরিকা মহাদেশের প্রায় সকল দেশ, দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় সকল দেশ, অস্ট্রেলিয়ার প্রায় সকল দেশ খ্রিস্ট ধর্মের চর্চা করে। এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশের মধ্যেই মুসলমানদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য দেখা যায়। তবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ছাড়া এসব অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে মুসলামানদের পাশাপাশি হিন্দু, বৌদ্ধ এবং খ্রিস্টান ও ঈসায়ীদের সংখ্যাও দেখা যায়।
এ কথা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই যে, অন্যান্য ধর্মের লোকদের মতো ঈসায়ী বিশ্বাস তথা খ্রিস্টধর্মেও কাজের ঈসায়ীর চেয়ে নামের ঈসায়ীর সংখ্যাই বেশি। তা হলেও তুলনামূলকভাবে ঈসায়ীর সংখ্যাই সারা পৃথিবীতে বেশি। ইঞ্জিল শরিফের প্রতিজ্ঞা অনুসারে, সারা পৃথিবী হজরত ঈসার নাম প্রচারিত না হওয়া পর্যন্ত তিনি দুনিয়াতে দ্বিতীয়বার ফিরে আসবেন না।