সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হ্যাঁ সাধারণ নিয়ম আছে, তবে ব্যতিক্রমও আছে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
সাধারণত পানিতে ডুবিয়ে তরিকাবন্দি দেওয়া হয়। যে ব্যক্তিকে তরিকাবন্দি দেওয়া হয়, তাকে আগে ঈসায়ী ঈমান সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হয়। তরিকাবন্দির সময় সাধারণত যে প্রশ্নগুলো করা হয়, তা হলো: ১) আপনি কি পবিত্র আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন, এবং বিশ্বাস করেন যে তিনি নিষ্পাপ এবং ধার্মিক? ২) আপনি কি বুঝতে পেরেছেন যে, আপনি একজন গুনাহগার এবং আল্লাহর সাথে আপনার সম্পর্ক নেই? ৩) আপনি কি জানেন যে, আপনি কোনভাবেই নিজের ধার্মিকতায় গুনাহ থেকে উদ্ধার পেতে পারেন না? ৪) আপনি কি বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ আপনাকে উদ্ধার করার জন্য হজরত ঈসাকে পাঠিয়েছেন, যিনি তাঁর নিষ্পাপ জীবন দিয়ে আপনার গুনাহর কাফ্ফারা দিয়েছেন? ৫) আপনি কি তাঁকে মুখে প্রভু এবং মসীহ বলে স্বীকার করেন এবং হৃদয়ে বিশ্বাস করেন যে, আল্লাহ তাঁকে মৃত্যু থেকে জীবিত করে তুলেছেন? উপরিউক্ত পাঁচটি প্রশ্নের উত্তরে যে ব্যক্তি সত্য সত্যই হ্যাঁ বলতে পারে, তাকেই তরিকাবন্দি দেওয়া হয়। সাধারণত যিনি তরিকাবন্দি দেন তিনি কিতাব থেকে তরিকাবন্দিবিষয়ক অংশগুলো পাঠ করেন, তরিকাবন্দির উদ্দেশ্যমূলক শিক্ষাগুলো ব্যাখ্যা করেন এবং তরিকাবন্দি নিতে আগ্রহী ব্যক্তিকে উপরিউক্ত প্রশ্নগুলো করেন, হ্যাঁ’সূচক উত্তর পেলে, তার মাথায় হাত রেখে পিতা পুত্র ও পাকরুহের নামে পানিতে ডুবিয়ে তরিকাবন্দি দেন। পানি থেকে ওঠার পর আবারো নতুন জীবন যাপন অর্থাৎ আল্লাহর পথে জীবন কাটানোর পরামর্শ দেন ও মুনাজাত করেন। উল্লেখ্য যে, কেউ তরিকাবন্দি নিতে ইচ্ছুক হলে, তাকে এ বিষয়ে কিতাবত থেকে শিক্ষা দেওয়া প্রয়োজন।