সংক্ষিপ্ত উত্তর:
কোরানের দৃষ্টিতে ইঞ্জিল শরিফ খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিতাব। কোরানের অনুসারীদের তা পড়তে বলা হয়েছে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
একটি ধারণা প্রচলিত আছে যে, একশ চারখানা আসমানি কিতাবের মধ্যে চারটি হলো শ্রেষ্ঠ কিতাব; ইঞ্জিল তাদের মধ্যে একটি। কোরান শরিফে ইঞ্জিল শরিফ পড়ার এবং চর্চা করার তাগিদ দেয়া হয়েছে জোড়ালোভাবে। কোরান শরিফে বলা হয়েছে, “বল, হে আহলে কিতাব, তোমরা কোন পথের উপরই নহ, যে পর্যন্ত না তোমরা তাওরাত, ইঞ্জিল ও তোমাদের রক্ষক হতে অবতীর্ণ কিতাবের অনুসরণ কর।” (সুরা মায়িদা ৬৮ আয়াত)। এখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে যে, যদি কেউ ইঞ্জিল শরিফ অনুসরণ না করে, তবে তার কোন ভিত্তিই নেই। সে নড়বড়ে এক খুঁটির মতো।
সুরা ইউনুস ৯৪ আয়াতে বলা হয়েছে, “আমি তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ করেছি, তাতে যদি তুমি সন্দেহে থাক তবে তোমার পূর্বের কিতাব যারা পাঠ করে, তাদের জিজ্ঞাসা কর।” হজরত মুহম্মদের সময়ের পূর্বের কিতাবগুলো হলো বিশেষত তাওরাত, জবুর ও ইঞ্জিল শরিফ। তৎকালে ইঞ্জিল বিশ্বাসী লোকেরাই অন্যান্য আসমানি কিতাব বিশ্বাস ও অনুসরণ করতো। সুতরাং এখানেও কোরানের দৃষ্টিতে ইঞ্জিল শরিফের গুরুত্ব বুঝানো হয়েছে।