সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হ্যাঁ, কিতাবুল মোকাদ্দস সবাই পড়তে পারে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
আমাদের দেশে হিন্দু সমাজের মধ্যে একটি প্রচলন ছিল যে, ব্রাহ্মণ ছাড়া সাধারণ লোক হিন্দু শাস্ত্র পড়তে পারতো না এমন কি স্পর্শও করতে পারতো না। ঈসায়ীদের মধ্যেও একসময় ছিল সাধারণ মানুষকে কিতাবুল মোকাদ্দস পড়তে দেয়া হতো না। বিশেষ বিশেষ ধর্মীয় নেতারা তা পড়তে ও শিক্ষা দিতে পারতেন। কিন্তু এটি কিতাবি সত্য অনুসারে সঠিক নয়। আল্লাহ তাঁর কালাম সবার জন্য দিয়েছেন। সবার মঙ্গলের কথা এখানে লেখা আছে। কেউ যদি আল্লাহর কালাম না পড়ে, তবে সে আল্লাহর ইচ্ছা জানা থেকে বঞ্চিত হয়। তাই একসময় এই অপব্যবস্থার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসে; মানুষ এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। অবশেষে কিতাব পড়া এবং শিক্ষা দেবার সুযোগ সাধারণ মানুষের হাতে ফিরে আসে। আল্লাহ চান যেন সবাই তাঁর কিতাব পড়ে এবং তাঁর ইচ্ছা জেনে তাঁর বাধ্য হয়। তাওরাত কিতাবে ছেলেমেয়েদের আল্লাহর কালাম শিক্ষা দেবার কথা বলা হয়েছে। দিনে রাতে, উঠতে, বসতে সবসময় তাদের সাথে কিতাবের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছে। অনেকে পড়তে জানতো না বলে, নবিরা লোকদের সামনে কিতাব থেকে পাঠ করে শোনাতেন এবং তাদের জীবনে কিতাবের গুরুত্ব বুঝিয়ে দিতেন। তার মানে এই নয় যে, একজন পড়বে বা শিক্ষা দেবে আর সবাই পড়বে না। শোনার অধিকার যেমন আছে, আল্লাহর কালাম পড়ার অধিকারও সকলের রয়েছে।
কোন কোন সময় বলা হয়ে থাকে যে, কোন একটি বিশেষ ধর্মগ্রন্থ অন্যধর্মের লোক ধরতে পারে না, কারণ সে বা তারা নাপাক। আর ধরতে পারে না মানেই হলো পড়তেও পারে না। আল্লাহর ইচ্ছাও কি তাই? একজন লোক যদি কালাম পড়তেই না পারলো তবে সে পাক-নাপাক সম্বন্ধে কীভাবে জানবে? তাই কিতাবুল মোকাদ্দস ঈসায়ী-অঈসায়ী, জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষ সবাই পড়তে পারে।