সংক্ষিপ্ত উত্তর: নবিগণ হজরত ঈসা মসীহ সম্পর্কে তাঁর জন্মের আগের ঘটনা থেকে শুরু করে জন্ম, কাজ, মৃত্যু, পুনরুত্থান, বেহেস্তে চলে যাওয়া এবং শেষকালে ফিরে আসার সকল কথাই বলেছেন।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
হজরত ঈসা মসীহ সম্পর্কে হজরত মুসা, হজরত দাউদ, হরজত ইয়ারমিয়া, হজরত ইশাইয়া, হজরত দানিয়াল, হজরত যোয়েল, হজরত মিখা, হজরত ইয়াহিয়া প্রমুখ নবিগণ নানা ভবিষ্যতবাণী করেছেন। তারা কেউ কেউ তাঁর জন্মের আগে ও জন্মের পরের অনেক ঘটনাবলি নিয়ে, ভবিষ্যতবাণী করেছেন। নবিগণ এত খুটিনাটি বিষয়ে ভবিষ্যতবাণী করেছেন যে, তা বিস্ময়কর। উদাহরণস্বরূপ, তাঁর জন্মের আগে তাঁর পথপ্রস্তুতির জন্য কেন জন্মাবেন, কী রকম মায়ের গর্ভে জন্মাবেন, তাঁর জন্ম কোথায় হবে, কীভাবে হবে, জন্মের সময় কী দুর্ঘটনা ঘটবে, শিশুকাল কীভাবে কাটবে, যৌবন কালে তিনি কী কী করবেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী কী হবে, তাঁর বিচার কেন হবে, বিচারের রায় কী হবে, তাঁর মৃত্যু কীভাবে হবে, কেন হবে, কোথায় কবর দেয়া হবে, কবর থেকে তিনি কী করবেন, অবশেষে তিনি কোথায় যাবেন এবং আবার যে দুনিয়াতে ফিরে আসবেন ইত্যাদি সব ঘটনাই নবিরা এক এক করে সব বলে গেছেন। হজরত ঈসার ৩৩ বছরের জীবন কালের প্রায় প্রত্যেকটি ঘটনাই নবিরা বলে গেছেন।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হলো নবিগণ তাঁর এই দুনিয়াতে আগমনের উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্যের কথাও বলেছেন। তাঁরা বলেছেন, হজরত ঈসা গুনাহগার মানুষকে তাদের গুনাহ থেকে উদ্ধার করতেই এই দুনিয়াতে আসবেন। তাঁরা বলেছেন, তিনি নিষ্পাপ হিসাবে জন্ম গ্রহণ করবেন এবং নিজেকে পাপী মানুষের কাফফারা হিসাবে আল্লাহর কাছে উৎসর্গ করবেন। তাঁর এই কাফফারার মধ্যদিয়ে গুনাহগার মানুষকে আল্লাহ নির্দোষ হিসাবে ধরবেন।