ঈসা এবং ইঞ্জিল শরীফ হচ্ছে এই সাধারণ রীতির অনন্য ব্যতিক্রম। ঈসা মসীহ্সাধারণ ইহুদী ধর্মীয় রীতি ভেঙ্গে তৌরাত শরীফের প্রাচীন হিব্রু ভাষার পরিবর্তে ইহুদী জনগণের চলতি আরামীয় ভাষায় দীক্ষা দিয়েছেন। তেমনভাবে ইঞ্জিল শরীফ প্রাচীন সাহিত্যিক গ্রিক ভাষার পরিবর্তে মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ মানুষের চলতি ‘কোইনে’ গ্রিক ভাষা ব্যবহার করেছে। এইভাবে ঈসা মসীহ্ধর্মীয় পেশাদারদের হাত থেকে তাঁর শিক্ষাকে রক্ষা করেছেন, কারণ আন্তর্জাতিক চলতি ভাষায় কিছু চড়িয়ে পড়লে তা কোন ক্ষুদ্র জাতির পণ্ডিতগণ বা ধর্মীয় পেশাদার শ্রেণীর পক্ষে তা ঐশীভাষায় ঢেকে রাখা বা নিজ-স্বার্থে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আবার ঈসা মসীহ্র জামাতের উদ্বোধনের দিনে আল্লাহ্পাক স্পষ্টভাবে প্রকাশ করেছেন যে তাঁর এবাদত করতে প্রত্যেকটি ভাষা সমান – আল্লাহ্র পাক-রূহ্র কুদরতে ঈসা মসীহ্র সাহাবীগণ অলৌকিকভাবে বিভিন্ন ভাষায় আল্লাহ্র প্রশংসা করলেন। সেদিন ছিল ইহুদীদের হজ্জের মত একটি বিরাট বার্ষিক সম্মেলন, এবং বিভিন্ন জাতির হাজার হাজার আল্লাহ্ভক্ত লোক তখন জেরুজালেমে প্রাচীন হিব্রু ভাষায় এবাদত করতে এসেছেন। তারা যখন সেদিন সাহাবীগণের মুখে নিজ নিজ ভাষায় আল্লাহ্র এবাদত-বন্দেগী শুনে তারা আশ্চর্য হলেন – আরবি ভাষায়, ফারসী ভাষায়, গ্রিক ভাষায়, ইত্যাদি।
শত বছর পরে, রোম শহরের ক্যাথলিক চার্চ তাদের নিজের ল্যাটিন ভাষাকে ঐশীভাষা হিসাবে প্রচার করেছেন, কিন্তু শেষে তা ব্যর্থ হয়েছে। মার্টিন লুথারের মত লোক যারা জানতেন ঈসা মসীহ্কতটুকু মাতৃভাষার উপর জোর দিতেন তারা এই ভণ্ডামি অস্বীকার করে মাতৃভাষায় এবাদত ও মাতৃভাষায় কিতাব পড়ার প্রথা ফিরিয়ে এনেছেন। ইতিহাসে ঈসা মসীহ্র অধিকাংশ অনুসারীরা তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে ঐশীভাষা চিন্তাধারা অস্বীকার করে এবাদতে মাতৃভাষার ব্যবহার মেনে নিয়েছেন। আসলে ইতিহাসে দেখা যায় যে বিভিন্ন জাতি ও দেশের অবহেলিত মাতৃভাষাকে আধুনিক ভাষায় রূপান্তর করার সবচেয়ে শক্তিশালী উপায় হচ্ছে বিভিন্ন ভাষায় কিতাবুল মোকাদ্দসের অনুবাদ।
কিতাবুল মোকাদ্দসের অন্যন্য বৈশিষ্টের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে ব্যাপকমাত্রায় প্রকাশ হওয়ার বই এবং ইতিহাসে কিতাবুল মোকাদ্দস হচ্ছে অন্যান্য বই বা ধর্মগ্রন্থের চাইতে সবচেয়ে বেশি ভাষায় অনুবাদিত পুস্তক; এ পর্যন্ত তিনশত ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। কিতাবুল মোকাদ্দসের বিভিন্ন অংশ আছে দুই হাজার ভাষায়, এবং পূর্ণ কিতাবুল মোকাদ্দসের অনুবাদ হয়েছে ৪০০ ভাষায়। বর্তমানে অন্য ৭০০ ভাষার অনুবাদের কাজ চলছে যেন বিশ্বের প্রত্যেকটি জাতির মানুষ মাতৃভাষায় আল্লাহ্র কালাম পড়তে পারে। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের চাইতে কিতাবুল মোকাদ্দস দশগুণের বেশি ভাষায় অনুবাদ হয়েছে। যেমন কোর’আন শরীফ অনুবাদ করা হয়েছে কেবল ৬০টি ভাষায়।
ইতিহাসে সর্বপ্রথম মুদ্রাযন্ত্রে ছাপানো বই হচ্ছে কিতাবুল মোকাদ্দস (১৪৫৫ খ্রীঃ)। পাঁচশত বছর আগে এই কিতাবুল মোকাদ্দসের মুদ্রণ গণশিক্ষায়, অক্ষরতায়, এবং তথ্য-প্রচারে একটি বিশ্বব্যাপি বিপ্লব বা বিবর্ত ঘটালো। গুটেনবার্গ, যিনি সেই প্রথম মুদ্রাযন্ত্র আবিষ্কার করেছেন, তাঁর উদ্যোগের উদ্দেশ্য এইভাবে প্রকাশ করেছেন:
”ধর্মীয় সত্য অল্পসংখ্যক পান্ডুলিপিতে বন্দী আছে, যেগুলো মনুষ্যজাতির ধন রক্ষা করে কিন্তু প্রকাশ করে না। চল আমরা এই পবিত্র জিনিসের সীলমোহর ভেঙ্গে সত্যের পাখা দিই যাতে সেটা কালামের সাথে উড়ে যায়; আর বিরাট খরচে নয় কিন্তু অনন্তকালে জনসাধারণের কাছে বিস্তার করা হবে এই যন্ত্রের মাধ্যমে।”
“এটি একটি মুদ্রাযন্ত্র, অবশ্যই, কিন্তু একটি মুদ্রযন্ত্র যেখান থেকে বহে যাবে অশেষ প্রবাহ … এটার মাধ্যমে আল্লাহ্ তার কালাম ছড়িয়ে দিবে। এই প্রেস থেকে সত্যের একটি ঝর্ণা বয়ে যাবে; একটি নতুন তারার মত সেটা অজ্ঞতার অন্ধকার হটাবে, এবং মানব জাতির মধ্যে জ্বালাতে দেবে এক নতুন জ্যোতি।”
গুটেনবার্গের সেই ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হল; যখন জনগণের ঘরে ঘরে প্রতিদিন কিতাব পড়ার অভ্যাস প্রচলন হল, তখন সততার, নিষ্ঠা এবং শ্রমের একটি ধার্মিক পুনর্জাগরণ ঘটল। এই পুনর্জাগরণের ভিত্তিতে উত্তর ইউরোপের উনবিংশ শতকের আকস্মিক ক্রয়বিক্রয় বৃদ্ধি ও বিজ্ঞানের পুনর্জন্ম ঘটল, কারণ গণশিক্ষায় মাতৃভাষার উপর জোর না দেওয়া পর্যন্ত কোন সমাজ আর্থিক উন্নতি পেতে পারে না। ইউরোপে সেই কিতাবুল মোকাদ্দসের প্রচণ্ড প্রভাব ফেলল; জার্মান ভাষাবীদগণ বলে যে আধুনিক জার্মান ভাষার আকারের মূল হচ্ছে মার্টিন লুথারের সেই প্রথম জার্মান বাইবেলের অনুবাদ। তেমনিভাবে ইংরেজ সাহিত্যের প্রধান প্রভাব হচ্ছে বাইবেলের প্রধান ইংরেজি অনুবাদ।
এত জাতির মাতৃভাষায় কিতাবুল মোকাদ্দস অনুবাদ করার উদ্যোগের উদ্দেশ্য কী? হযরত ঈসা তাঁর উম্মতদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে “ধর্মীয়” ভাষা ব্যবহার না করে অবহেলিত মাতৃভাষা ব্যবহার করে। ঈসা মসীহ্র শিক্ষা কোন এক জাতির ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার মত ছিল না বরং জনগণকে শয়তানের অন্ধকার থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।
গুটেনবার্গের সেই ভবিষ্যদ্বাণী পূর্ণ হল; যখন জনগণের ঘরে ঘরে প্রতিদিন কিতাব পড়ার অভ্যাস প্রচলন হল, তখন সততার, নিষ্ঠা এবং শ্রমের একটি ধার্মিক পুনর্জাগরণ ঘটল। এই পুনর্জাগরণের ভিত্তিতে উত্তর ইউরোপের উনবিংশ শতকের আকস্মিক ক্রয়বিক্রয় বৃদ্ধি ও বিজ্ঞানের পুনর্জন্ম ঘটল, কারণ গণশিক্ষায় মাতৃভাষার উপর জোর না দেওয়া পর্যন্ত কোন সমাজ আর্থিক উন্নতি পেতে পারে না। ইউরোপে সেই কিতাবুল মোকাদ্দসের প্রচণ্ড প্রভাব ফেলল; জার্মান ভাষাবীদগণ বলে যে আধুনিক জার্মান ভাষার আকারের মূল হচ্ছে মার্টিন লুথারের সেই প্রথম জার্মান বাইবেলের অনুবাদ। তেমনিভাবে ইংরেজ সাহিত্যের প্রধান প্রভাব হচ্ছে বাইবেলের প্রধান ইংরেজি অনুবাদ।
এত জাতির মাতৃভাষায় কিতাবুল মোকাদ্দস অনুবাদ করার উদ্যোগের উদ্দেশ্য কী? হযরত ঈসা তাঁর উম্মতদের জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে “ধর্মীয়” ভাষা ব্যবহার না করে অবহেলিত মাতৃভাষা ব্যবহার করে। ঈসা মসীহ্র শিক্ষা কোন এক জাতির ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার মত ছিল না বরং জনগণকে শয়তানের অন্ধকার থেকে মুক্ত করার উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।
বর্ণমালা আবিষ্কার এবং গণ-সাক্ষরতা শিক্ষা
আসলে যতক্ষণ পর্যন্ত জনগোষ্ঠী নিরক্ষর থাকে ততক্ষন তাদের মানুষের চলতি ভাষায় কিতাব অনুবাদ করে বেশি লাভ হয় না। এইজন্য ঈসা মসীহ্র অনুসারীগণ বিভিন্ন ভাষায় প্রথম বর্ণমালা আবিষ্কার করার কঠিন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, এবং পরে মানুষকে সেই বর্ণমালায় সাক্ষরতা শিক্ষা
দিতেন যেন সবাই আল্লাহ্র কালাম বুঝে পড়তে পারে। দৃষ্টান্তস্বরূপ আধুনিক সিরিলীয় বর্ণমালা যেটা রুশ ভাষায় এবং অন্যান্য ১০০টি ভাষায় ব্যবহৃত হয়, সেটা নবম শতকে আবিষ্কার করেছেন সিরিল এবং মেথোদিয়স নামে দু’জন ঈসায়ী তবলীগকারী যাঁরা কিতাবুল মোকাদ্দস অনুবাদ করতে যাতে স্লাভিক জাতি মাতৃভাষায় কিতাব পড়তে পারে। তার আগে সেইসব ভাষার নিজস্ব কোন বর্ণমালা ছিল না। তেমনিবভাবে ৪০০ বছর আগে একজন ঈসায়ী ধর্মপ্রচারক কিতাবুল মোকাদ্দস অনুবাদ করার উদ্দেশ্যে আধুনিক ভিয়েত্নামী ভাষার বর্ণমালা আবিষ্কার করেছেন । এমনভাবে ঈসায়ী তবলীগকারীরা আরো ২০০টি ভাষার বর্ণমালা (যেমন ক্রী, আর্মিনিয়, গোথিক, ইত্যাদি) আবিষ্কার করেছেন।
কোরিয়াতে ‘হাঙ্গুল’ নামে একটি সহজ যুক্তিপূর্ণ বর্ণমালা আবিষ্কার হয়েছে ৬০০ বছর আগে যাতে সাধারণ মানুষ সহজে লেখাপড়া শিখতে পারে। কিন্তু বৌদ্ধ এবং কন্ফুশিয় ধর্মীয় নেতারা এর বিরোধিতা করে সেই বর্ণমালা নিষিদ্ধ করেছেন; কারণ সেটা “ঐশী” চীন অক্ষরে ছিল না। এইজন্য লেখাপড়া শুধুমাত্র উচ্চশ্রেণীর একটি অবসর বিনোদনের উপায় হিসেবেই থেকে গিয়েছিল। ফলে, সেই সহজ বর্ণমালা বিংশ শতক পর্যন্ত অবহেলিত ছিল। সেই সময় ঈসায়ী তবলীগকারী এসে কিতাবুল মোকাদ্দস অনুবাদ করেছেন সেই অবহেলিত সহজ যুক্তিপূর্ণ বর্ণমালায়, কোরিয়ার প্রথম সংবাদপত্র এবং সাময়িক পত্র-পত্রিকা প্রকাশ করে কোরিয়াতে সাক্ষরতা উৎসাহিত করলেন। এই বর্ণমালা পরিবর্তনের ফলে দেশে সাক্ষরতা, জাতিয়তাবাদ স্বাতন্ত্র্য এবং আর্থিক উন্নতি বেড়ে গেল। আফ্রিকাতে এইরকম অনেক দৃষ্টান্ত দেখা যায়, যেখানে কিতাবুল মোকাদ্দস অনুবাদের ফলে একটি অবহেলিত ভাষার পুনর্জাগরণ শুরু হয়েছেন।
এইভাবে আমরা বিশ্বজগতে দেখতে পায় কিতাবুল মোকাদ্দস বিভিন্ন মাতৃভাষায় অনুবাদের ফলে ক্রমাগতভাবে গণ অক্ষরতা, গণতন্ত্র, উন্নতি এবং উচ্চশিক্ষা বিস্তার হয়েছে।
আমাদের নিজের বাংলা ভাষা এর কোন ব্যতিক্রম নয়।
বঙ্গের ঐতিহাসিক রীতি অনুসারে আরবি, সংস্কৃত এবং ফারসি ভাষাগুলো ধর্মীয় শিক্ষায় এবং উপাসনায় প্রধান স্থান পেয়েছেন বাংলা ভাষার উপরে। এই মনোভাবের ফলে এখনও হাজার নিম্নশ্রেণীর বাঙালী আছে যারা আরবি পড়তে পারেন কিন্তু নিজের মাতৃভাষায় নাম পর্যন্ত আগাগড়া কিছুই লিখতে পারেন না।
শত শত বছর ধরে বঙ্গের প্রায় সব ইতিহাস ফারসি এবং সংস্কৃত ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। এমন কি রবীন্দ্রনাথের শুধু দশ দশক পূর্বে কলকাতায় একজনও যোগ্যতাসম্পন্ন বাংলা ভাষার শিক্ষক ছিলো না; বাংলা ভাষায় কোন গদ্য ছিল না, অভিধান বা শব্দকোষ ছিল না, ব্যাকরণ ছিল না, ছাপানো বইও ছিল না। এটা আশ্চর্য কিছু নয়, কারণ মধ্যযুগের হিন্দু ও মুসলমান পণ্ডিতগণদের চিন্তায় বাংলা ভাষা ছিল “নারী ও ভূতপ্রেতের উপযুক্ত ভাষা”, এ ছিল অবহেলিত জেলে শ্রেণীর মানুষের ভাষা; যা রাজ-রাজড়া বা শাসক শ্রেণীর অফিস-আদালতে ব্যবহারের যোগ্য নয়। ১৮০০ শালের পূর্ব যে অল্প কয়েক’টি বাংলায় লিখিত কাব্য গ্রন্থ ছিল সেগুলো অধিকাংশ ফারসি ও সংস্কৃত কাব্যের অনুবাদ এবং ফারসি ও সংস্কৃত মূল রচনার চেয়ে কম প্রচার পেয়েছিল।
যদিও বাংলাদেশে ইসলাম আটশত বছরে ব্যাপক বিস্তার লাভ করেছিল, তবুও বঙ্গে কোরআন শরীফের অর্থ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষের খুব কমই প্রত্যক্ষসূত্রের জ্ঞান ছিল। কোরআন শরীফের প্রথম বঙ্গানুবাদ ১৮৮০ শালে করেছেন গিরিশ চন্দ্র সেন নামে একজন হিন্দু ব্রাহ্মণ।
ইংরেজ ঔপনিবেশিকেরা বাংলা ভাষার ব্যবহারকে উৎসাহিত করেন নি; তাদের একমাত্র চিন্তা ছিল ক্ষমতা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষা করা যাতে তারা ভারত থেক অর্থসম্পদ নিয়ে যেতে পারে। প্রথমে তারা ফারসি ভাষা এবং পরে ইংরেজিকে প্রশাসন পরিচালনার ভাষা হিসাবে ব্যবহার করলেন। ইংরেজ প্রাচ্যবিদরা বাংলা ভাষার ব্যবহার বিরোধিতা করেছিলেন, তার বদলে সংস্কৃত, আরবি এবং ফারসি ভাষায় গণশিক্ষার পরিকল্পনা সমর্থন করেছিলেন। এমনকি রামমহন রয়ের মত বঙ্গ পুনর্জনমের নেতারা মনে করতেন যে বাংলা ভাষা উপাসনায় ব্যবহারের অযোগ্য এবং তিনি বাংলার পরিবর্তে ইংরেজি ভাষাকেই শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে বিবেচনা করতেন।
তাহলে সাহিত্যে, শিক্ষায়, প্রশাসনে এবং ধর্মে বাংলা ভাষাকে সর্বপ্রথম কারা সম্মান দিতেন? কারা বাংলা ভাষাকে প্রথম তুলে নিলেন এবং কেন এই মনোভাবের পরিবর্তন হল?