সংক্ষিপ্ত উত্তর:
আল্লাহ সব দেশের মানুষের মাতৃভাষা বোঝেন।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
আল্লাহর কাছে কোন একটি বিশেষ ভাষার বিশেষ কোন মূল্য নেই। তাঁর কাছে সব ভাষাই সমান। কিতাবের ইতিহাস থেকে জানা যায়, আল্লাহ নিজেই বিভিন্ন ভাষার সৃষ্টি করেছেন যেন মানুষ কৃষ্টি-সংস্কৃতি-ভাষা নিয়ে অহংকার করতে না পারে। হজরত ঈসার মাতৃভাষা ছিল অরামিক। তিনি হিব্রু এবং গ্রিক ভাষাও জানতেন এবং ব্যবহার করতেন। তাঁর সাহাবিরা গ্রিকেই কিতাব লিখেছিলেন। এই কারণে ইঞ্জিল শরিফের ভাষা হলো গ্রিক ভাষা।
ইহুদি জাতির ভাষা ছিলো হিব্রু বা ইবরানী এবং এই ভাষাতেই তাওরাত, জবুরসহ আগের প্রায় সব কিতাব লেখা হয়। হজরত ঈসা যে কিতাব ব্যবহার করতেন তা হিব্রু ভাষাতেই লেখা। তিনি এবাদতখানায় সেই ভাষায় কিতাব পড়ে লোকদের কাছে অরামিক ও গ্রিক ভাষায় বুঝিয়ে দিতেন। অতএব, ঈসায়ীদের কাছে হিব্রু এবং গ্রিক খুবই মূল্যবান। কেননা এই দু’টো ভাষাতেই কিতাবুল মোকাদ্দস নাজেল হয়। মূল্যবান এই অর্থে যে, প্রকৃত সত্য জানতে হলে মূল ভাষা জানা থাকলে কিতাব বুঝতে সুবিধা হয়। কিন্তু সেই ভাষাতেই এবাদত করতে হবে তার কোন মানে নেই এবং এব্যাপারে আল্লাহও কোন নির্দেশ দেননি। আল্লাহর কাছে ভাষা বড় বিষয় নয়, বড় বিষয় হলো মানুষের অন্তর। আরব দেশের লোকদের জন্য আরবি ভাষায় এবাদত করা প্রয়োজন, বাঙালির বাংলাভাষাতেই এবাদত করা উচিত, এই ভাষাতেই সে মনের কথা খুলে বলতে পারে। অতএব, বাঙালি ঈসায়ীদের জন্য বাংলা ভাষায় এবাদত করাই সমীচীন।