সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হ্যাঁ, যেহেতু পৃথিবীর কোটি কোটি লোক হজরত মুহম্মদকে মানে ও বিশ্বাস করে, সেহেতু ঈসায়ীরাও তাঁকে একজন মহাপুরুষ হিসাবে সম্মান করে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
নবি শব্দের মানে হলো ভবিষ্যত প্রবক্তা আর রসুল হলো আল্লাহর প্রেরিত পুরুষ। যদি এই শব্দগুলো দিয়ে সাফায়াতকারী ধরা হয়, তবে ঈসায়ীরা তাঁকে মানে না বলতে হবে। কারণ ইঞ্জিল শরিফ অনুসারে সাফায়াতকারী একজনই আছেন, আর তিনি হলেন হজরত ঈসা কালেমাতুল্লাহ। পাককালাম বলে যে, আল্লাহ যেমন একজন ঠিক তেমনি আল্লাহ ও মানুষের মধ্যে সাফায়াতকারীও একজনই আছেন, আর তিনি হলেন হজরত ঈসা মসীহ।
পাককিতাবের কথা অনুযায়ী হজরত ঈসা দুনিয়াতে সাফায়ত করার জন্য এসেছিলেন। তিনি নিজের জীবন কোরবানি দিয়ে সাফায়াত করার গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছিলেন। পাককিতাবে লেখা আছে, “মসীহ আমাদের জন্য একটা নতুন ও জীবন্ত পথ খুলে দিয়েছেন, যেন আমরা পর্দার মধ্যদিয়ে অর্থাৎ তাঁর শরীরের মধ্য দিয়ে আল্লাহর সামনে উপস্থিত হতে পারি” (ইবরানি ১০:২০)। শুধু তা নয়, তিনি এখনও প্রতিদিন আমাদের জন্য সাফায়ত করছেন যেন আমরা শয়তানের কুটকৌশল থেকে রক্ষা পাই। পাককিতাব বলে, “…এইজন্য যারা তাঁর মধ্যদিয়ে আল্লাহর কাছে আসে, তাদের তিনি সম্পূর্ণভাবে নাজাত করতে পারেন। কারণ তাদের পক্ষে অনুরোধ করবার জন্য তিনি সবসময় জীবিত আছেন” (ইবরানি ৭:২৫)। ঈসা নামের অর্থ হলো উদ্ধারকর্তা। এ নাম ফেরেশতা তাঁর জন্মের আগেই রেখেছিলেন। সুতরাং ঈসায়ীদের তথা সকল মানুষের একমাত্র সাফায়াতকারী হলেন ঈসা কালেমাতুল্লাহ।
তবে হজর মুহম্মদকে একজন মহাপুরুষ বলতে ঈসায়ীদের কোন বাধা নেই। এই অর্থে যদি নবি বা রসুল বলা হয়, তবে তাঁকে নবি বলতেও দোষের কিছু নেই।