সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হ্যাঁ, ঈসায়ীরা রাজনীতি করতে পারে এবং করে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
রাজনীতি মানুষের জন্মগত অধিকার। যে যেদেশেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন, সে কোন না কোন দেশের নাগরিক এবং কোন না কোন রাজনৈতিক পরিবেশে বাস করে। নাগরিক হলেই প্রশ্ন আসে, অধিকার ও কর্তব্য পালনের। একজন নাগরিকের উচিত ভোটার হাওয়া, ভোট দেওয়া, প্রার্থী হওয়া, দেশের জন্য ভালোমন্দ চিন্তা করা, দেশের সকল সুযোগসুবিধা ভোগ করা, অন্যদের জন্য সেই সুযোগসুবিধা ভোগ করার পরিবেশ বজায় রাখা ইত্যাদি। একজন ঈসায়ী যে দেশে বাস করে, সেই দেশে তার অবস্থানও একই রকম। এদেশের ঈসায়ীরা বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে; মাঠে ময়দানে, সাহায্য সহযোগিতায়, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ইত্যাদি সব কিছুতেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে। গণমানুষের দাবির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে দেশের প্রতিটি আন্দোলনেও তারা হাতেহাত, কাঁধেকাঁধ মিলিয়ে, সমান তালে এগিয়ে চলে। সুতরাং বলতেই হয় ঈসায়ীরা রাজনীতি করে।
রাজনীতি বলতে দু’ধরণের রাজনীতি আছে। একটি হলো উদারপন্থি সাধারণ রাজনীতি এবং দ্বিতীয়টি কট্টরপন্থি বিশেষ রাজনীতি। উদারপন্থি সাধারণ রাজনীতি সকল ঈসায়ীরই করা উচিত। কারণ তারাও দেশের নাগরিক, দেশের সকল ভালো কিছুতে তাদের অংশগ্রহণ করা উচিত। কিন্তু কট্টরপন্থি রাজনীতি হলো সেই রাজনীতি যা অন্যদের নিজের মতামত গ্রহণ করতে বাধ্য করে, প্রয়োজনে জান-মাল ক্ষয়ক্ষতি করেও তাদের মতামত অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়। আমাদের দেশে রাজনীতি ও ধর্মনীতি উভয় ক্ষেত্রেই এই বিষয়টি লক্ষ্যণীয়। নিজের মনের মতো কিংবা ইচ্ছা মতো না হলে, কোন কিছুই যেন সঠিক নয়। অন্যের মতো যেন কোন মাতামতই নয়। হজরত ঈসা বলেন, ‘সম্রাটের যা পাওনা তা সম্রাটকে দাও, আল্লাহর যা পাওনা তা আল্লাহকে দাও।’ হজরত ঈসা নিজে সরকারি কর দিতেন এবং তাঁর সাহাবিদের কর দিতে উৎসাহিত করতেন।