সংক্ষিপ্ত উত্তর:
ঈসায়ীদের কিতাব স্বীকৃত ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুটি, একটি তরিকাবন্দি এবং দ্বিতীয়টি প্রভুর মেজবানি।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
আরও কয়েকটি অনুষ্ঠান আছে যা ধর্মীয় অনুষ্ঠান না বলে সামাজিক উৎসব বলা যায়। সামাজিক উৎসব তিনটি। প্রথমটি বড়দিন বা হজরত ঈসা মসীহের জন্মদিন; দ্বিতীয়টি পুণ্য শুক্রবার বা হজরত ঈসার মৃত্যু দিন এবং তৃতীয়টি পুনরুত্থান দিন অর্থাৎ হজরত ঈসার কবর থেকে জীবিত হয়ে ওঠার দিন। এছাড়াও ঈসায়ীদের মধ্যে আরো কিছু অনুষ্ঠান পালন করা হয়, যেমন- ধন্যবাদ সভা, পারিবারিক মুনাজাত সভা, সাপ্তাহিক এবাদত সভা, আলোকিত স্কুল, শিশু উৎসর্গ, মৃত্যু পরবর্তী অনুষ্ঠান বা স্মৃতিসভা ইত্যাদি।
কিতাব স্বীকৃত ধর্মীয় অনুষ্ঠানের ১ম ধর্মীয় অনুষ্ঠান: তরিকাবন্দি। হজরত ঈসা কর্তৃক নির্ধারিত দুটি অনুষ্ঠানের প্রথমটি তরিকাবন্দি অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানের সাথে ঈসায়ীদের ঈমানের একটা গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এই অনুষ্ঠান পালনের জন্য হজরত ঈসা সরাসরি নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “…তোমরা গিয়ে সমস্ত জাতির লোকদের আমার উম্মত কর। পিতা, পুত্র ও পাকরুহের নামে তাদের তরিকাবন্দি দাও” (ইঞ্জিল শরিফ, ১ম সুরা মথি ২৮:১৯)। আমরা হজরত ঈসা মসীহের সাহাবিগণের জীবন ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই, তাঁরা এই আদেশ পালন করেছিলেন। অর্থাৎ তারা তরিকাবন্দি দিয়েছিলেন এবং তরিকাবন্দি দিতে শিক্ষাও দিয়েছিলেন। যার ফলে, সাধারণ মানুষ জানতো যে, ঈসা মসীহকে বিশ্বাস করলে তরিকাবন্দি নিতে হয়। একবার ফিলিপ নামের একজন ঈমানদার ইথিওপিয়ার এক রাজকর্মচারীর কাছে ঈসা মসীহের সুখবর প্রচার করেছিলেন। এই রাজকর্মচারী পরজাতি ছিলেন। ফিলিপের কথা বলা শেষ হলে, সেই রাজকর্মচারী বলেছিলেন, “এই দেখুন, এখানে পানি আছে; আমার তরিকাবন্দি নেবার বাধা কি আছে” (ইঞ্জিল শরিফ, প্রেরিত ৮:৩৭)? এ থেকে বুঝা যায় ঈসায়ী ঈমানদার হবার পর তরিকাবন্দি নেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।