সংক্ষিপ্ত উত্তর:
ঈসায়ীদের কাছে ইঞ্জিল শরিফের বাইরে হাদিস বলতে কিছু নেই।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
কোন নবিকে কেউ কিছু বলতে শুনেছেন, করতে দেখেছেন কিংবা কোন নবি কোন বিষয়ে মৌন থেকেছেন বা সরাসরি আদেশ করেছেন অথবা নিষেধ করেছেন বলে, প্রকাশ করা হয়, তা-ই হাদিস। ঈসায়ীদের কাছে এ ধরনের কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। যারা হাদিসে বিশ্বাসী, তারা সাধারণত হাদিসকে জীবন-যাপনের নির্দেশনা বলে মানে। তারা ভাবে যে, হাদিস তাদের মূল ধর্মগ্রন্থকে ব্যাখ্যা করার সহায়ক হিসাবে কাজ করে এবং হাদিস ছাড়া জীবন-যাপন প্রায় অসম্ভব। তাই হাদিসকে আল্লাহর কালামের সাথে সমতুল্য করা হয়।
এ ধরনের কোন হাদিস বিশ্বাস না করলেও ঈসায়ীরা আল্লাহর কালামের ব্যাখ্যার উপর গুরুত্ব আরোপ করে। ঈসায়ীদের মধ্যে কালামের লক্ষ লক্ষ তফসিরকারক বা ব্যাখ্যাকারক রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত আল্লাহর কালামের চর্চার জন্য আত্মনিয়োজিত আছেন। ঈসায়ীরা বিশ্বাস করে যে, আল্লাহর কালাম তফসির করার জন্য আল্লাহ মানুষকে ব্যবহার করতে পারেন। একদিক থেকে এধরনের তফসিরকে হাদিস বলা যেতে পারে। মনে রাখতে হবে যে, এসব তফসির কোনভাবেই আল্লাহর কালামের সমতুল্য নয় এবং তুলনা করাও অসমীচীন। কিতাবুল মোকাদ্দসের মতো আর কোন লিখিত কালামের অস্তিত্ব নেই, প্রয়োজনও নেই। তবে ঈসায়ীদের বিশ্বাস হলো, এখনও আল্লাহ পাকরুহের মধ্য দিয়ে মানুষের সাথে কথা বলেন। তার মানে হলো, তফসিরকারকগণ আল্লাহর পাকরুহের চেতনা পেয়ে, মানুষের শিক্ষার জন্য আল্লাহর কালাম ব্যাখ্যা করেন।