সংক্ষিপ্ত উত্তর:
হ্যাঁ, এক অর্থে ঈসায়ীদের আল্লাহ ও মুসলিমদের আল্লাহ একই আল্লাহ, তবে কিছু পার্থক্যও আছে।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
বিশ্বব্রক্ষ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ দুইজন হতে পারেন না, তিনি একই আল্লাহ। কিতাবুল মোকাদ্দসে যে আল্লাহর কথা বলা হয়েছে, যে আল্লাহর কথা হজরত আদম, নুহ, ইব্রাহিম, ইসহাক, ইয়াকুব, ইউসুফ, মুসা, দাউদ, সোলায়মান, ঈসা প্রমুখ নবিরা বলেছেন, তিনিই সর্বশক্তিমান পাকআল্লাহ। আল্লাহর কালাম থেকে বিভিন্ন ঘটনাবলী পড়ে তাঁর চরিত্র বিশ্লেষণ করলে, যে গুণগুলো পাওয়া যায়, তা প্রায় সকল ধর্মের মধ্যেই বিধৃত আছে। তবে বিশ্বাসের দিক থেকে বুঝতে হবে যে, কারা কোন্ ধরনের বৈশিষ্ট্যগুলোগুলোর উপর গুরুত্ব দেয় এবং সেভাবে আল্লাহকে বিশ্বাস করে। কোরানে বর্ণিত আল্লাহর ৯৯ নামের সকল বৈশিষ্ট্যই ঈসায়ীদের আল্লাহর চরিত্রে বিদ্যমান, সেই আল্লাহকেই তারা বিশ্বাস করে। তবে আল্লাহর ধার্মিক গুণটি এই ৯৯ নামের মধ্যে পাওয়া যায় না। এদিক থেকে আল্লাহকে ঈসায়ীরা একটি বিশেষ দৃষ্টিকোন থেকে বিশ্বাস করে। বোঝার সুবিধার জন্য কোরানে বর্ণিত আল্লাহর ৯৯টি নাম নিম্নে দেয়া হলো:
- আল্লাহ: যে নাম সকল নামের উপরে অবস্থান করে।
- আল-আউয়াল: সর্বপ্রথম, যিনি শুরুর আগেই ছিলেন। (সূরা হাদিদ ৩ আয়াত)।
- আল-আখির: সর্বশেষ, সবকিছু শেষ হওয়ার পরও যিনি থাকবেন। (সূরা হাদিদ ৩ আয়াত)।
- আল-বাদি: পরিকল্পনাকারী, যিনি সৃষ্টির সকল কিছুর পরিকল্পনা করেন। (সূরা বাকারা ১১৭ আয়াত)।
- আল-বারি: সৃষ্টিকর্তা, যার হাত দিয়ে আমরা সবাই এসেছি। (সূরা হাশর ২৪ আয়াত)।
- আল-বার: উপকারী, যার সকল সৃষ্টিকর্মের মধ্যে সর্বজনগ্রাহ্যতা আছে। (সূরা তুর ২৮ আয়াত)।
- আল-বশির: পর্যবেক্ষণকারী, যিনি সব দেখেন ও শোনেন। (সূরা হাদিদ ৩ আয়াত)।
- আল-বাসিত: ছড়ানোকারী, যিনি তাঁর ইচ্ছামত দয়া বিতরণ করেন। (সূরা রা’দ ২৬ আয়াত)।
- আল-বাতিন: আভ্যন্তরীণ, যিনি সবকিছুর অভ্যন্তরে কাজ করেন। (সূরা হাদিদ ৩ আয়াত)।
- আল-বাইত: উত্থাপক, যিনি সবজাতি থেকে সাক্ষী উত্থাপন করেন। (সূরা আন্’আম ৮৯, ৯১ আয়াত)।
- আল-বাকি: সহ্যশীল, যিনি আরো বেশি সহ্য করেন। (সূরা তাহা ৭৩, ৭৫ আয়াত)।
- আল-তাওয়াব: ত্যাগকারী, যিনি আদম এবং বংশধরদের ত্যাগ করেন। (সূরা বাকারা ৩৭ আয়াত)।
- আল-জাব্বার: মহাশক্তিশালী, যার ক্ষমতা ও শক্তি অপরিসীম। (সূরা হাশর ২৩ আয়াত)।
- আল-জলিল: শক্তিশালী এবং কর্তৃত্বকারী।
- আল-জামি: সংগ্রহকারী, যিনি একটি সুনির্দিষ্ট দিনে সকলকে সংগ্রহ করেন। (সূরা আল-ইমরান ৯ আয়াত)।
- আল-হাসিব: হিসাবকারী, যিনি বার বার জবাবদিহি করেন। (সূরা নিসা ৬-৮ আয়াত)।
- আল-হাফিজ: অভিভাবক, যিনি সবকিছুর দেখাশোনা করেন। (সূরা হুদ ৫৭ আয়াত) (ইশাইয়া ১:২)।
- আল-হক্ক: সত্য। (সূরা তাহা ১১৪ আয়াত)।
- আল-হাকেম: বিচারক, যিনি তাঁর বান্দাদের বিচার করেন। (সূরা মু’মিন ৪৮, ৫১ আয়াত)।
- আল-হাকিম: জ্ঞানী, যিনি জ্ঞানী ও সর্বজ্ঞ। (সূরা আ’রফ ১৮ আয়াত)।
- আল-হালিম: দয়াময়, যিনি ক্ষমা করেন ও সবকিছু নিষ্পত্তি করেন। (সূরা বাকারা ২২৫ আয়াত)।
- আল-হামিদ: প্রশংসাযোগ্য, সবাই তাঁর প্রশংসা করতে বাধ্য। (সূরা বাকারা ২৬৭, ২৭০ আয়াত)।
- আল-হাঈ: চিরজীবী, যিনি সকল জীবনের উৎস। (সূরা তাহা ১১১ আয়াত)।
- আল-খাবির: অভিজ্ঞ, যিনি জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ। (সূরা আন’আম ১৮ আয়াত)।
- আল-খাফিদ: নম্রকারী, যিনি কাউকে অবনত করেন আর কাউকে উচ্চে ওঠান। (সূরা ওয়াকি’আ ৩ আয়াত)।
- আল-খালিক: সৃষ্টিকর্তা, যিনি সবকিছু সৃষ্টি করেন। (সূরা রা’দ ১৬-১৭ আয়াত) (পয়দায়েশ ১:১)।
- আল-হাদি: পথপ্রদর্শক, যিনি ঈমানদারদের সোজা পথ দেখান। (সূরা হাজ্জ ৫৪ আয়াত)।
- আল-ওয়াহেদ: এক, বেহেস্তি সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রে অদ্বিতীয়। (সূরা রা’দ ১৬-১৭ আয়াত)।
- আল-ওয়াহিদ: অনন্য, যিনি একাকী সব সৃষ্টি করেন। (সূরা মুদ্দাছ্ছির ১১ আয়াত)।
- আল-ওয়াদুদ: প্রেমময়, যিনি তাঁর বান্দাদের প্রতি কৃপাময় ও প্রেমময়। (সূরা হূদ ৯০, ৯২ আয়াত) (১ ইউহোন্না ৪:৮)।
- আল-ওয়ারিথ: উত্তরাধিকার দানকারী, সকলই যার যার গন্তব্যে ফিরে যাবে। (সূরা বনি ইসরাইল ৪০-৪১ আয়াত)।
- আল-ওয়াসি: মুক্তপ্রাণ, যার অসীমতা সকলের কাছে পৌঁছে যায়। (সূরা বাকারা ২৬৮, ২৭১ আয়াত)।
- আল-ওয়াকিল: প্রশাসক, যার কাছে সবকিছুর দায়দায়িত্ব অর্পিত। (সূরা আন’আম ১০২ আয়াত)।
- আল-ওয়েলি: সমর্থক, যিনি বান্দাদের যথেষ্ট সমর্থন করেন। (সূরা নিসা ৪৫, ৪৭ আয়াত)।
- আল-ওয়ালি: দেহরক্ষী, যাকে ছাড়া মানুষের রক্ষী হিসাবে আর কাউকে চিন্তা করা যায় না। (সূরা রা’দ ১১-১২ আয়াত)।
- আল-ওয়াহাব: হৃষ্টচিত্তদাতা, যিনি তাঁর অসীম ধন থেকে মুক্তহস্তে দান করেন। (সূরা আল-ইমরান ৮ আয়াত)।
- আল-আজিজ: অনুপ্রেরণাদায়ী, অনুপ্রেরণা দান করার ক্ষেত্রে শক্তিশালী এবং সার্বভৌম। (সূরা হাশর ২৩ আয়াত)।
- আল-আজিম: শক্তিশালী, যিনি সবকিছুর উপরে এবং শক্তিশালী। (সূরা বাকারা ২৫৫-২৫৬ আয়াত)।
- আল-আফ্যু: ক্ষমাকারী, যিনি তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে সর্বদা প্রস্তুত। (সূরা নিসা ৯৯-১০০ আয়াত)।
- আল আলিম: জ্ঞানীজন, যিনি সবকিছু সম্বন্ধে সচেতন। (সূরা বাকারা ২৯ আয়াত)।
- আল-আলি: সুউচ্চজন, যিনি উচ্চীকৃত এবং শক্তিশালী। (সূরা বাকারা ২৫৫-২৫৬ আয়াত)।
- আল-গফুর: ক্ষমাদানকারী, যিনি ক্ষমা করেন এবং ব্যবস্থা করেন। (সূরা বাকারা ২৩৫ আয়াত)।
- আল-গাফ্ফার: বিবেচনাকারী, কোনকিছু বিবেচনা করতে এবং ক্ষমা করতে সর্বদা প্রস্তুত। (সূরা নুহ ১০ আয়াত)।
- আল-গনি: ধনী, যিনি সবকিছুর মালিক এবং অধিকারী। (সূরা বাকারা ২৬৭ আয়াত)।
- আল-ফাতাহ্: উদ্বোধক, যিনি পরিষ্কার করেন এবং পথ খুলে দেন। (সূরা সাবা ২৬ আয়াত)।
- আল-ক্বাবিদ: ধারণকারী, যিনি ধারণ করেন এবং খোলাহাতে দান করেন। (সূরা বাকারা ২৪৫-২৪৬ আয়াত)।
- আল-ক্বাদির: সমর্থ, যিনি নিজের সন্তোষজনক কিছু করতে সমর্থ। (সূরা বনি-ইসরাইল ৯৯, ১০১ আয়াত)।
- আল-কুদ্দুস: অতি পবিত্রজন, বেহেস্তে এবং দুনিয়াতে সবাই যাঁর চোখে পবিত্র থাকতে বাধ্য। (সূরা জুমু’আ ১আয়াত)।
- আল-ক্বাহ্হার: সর্বজয়ী, যিনি সবকিছু জয় করেন। (সূরা রা’দ ১৬-১৭ আয়াত)।
- আল-কাউয়ী: শক্তিশালী, যিনি শক্তি ও ক্ষমতায় সার্বভৌম। (সূরা রা’দ ১৯ আয়াত)।
- আল-কাইয়ুম: আত্মনির্ভরশীল, যিনি কেবল একজনই অনন্তকাল স্থায়ী। (সূরা আলে-ইমরান ২ আয়াত)।
- আল-কবির: মহান, যিনি সুউচ্চ এবং মহান। (সূরা হাজ্জ ৬২ আয়াত)।
- আল-করিম: মহানুভব, যিনি কেবল ধনীই নন, হৃষ্টচিত্তদাতাও। (সূরা নামল্ ৪০ আয়াত)।
- আল-লতিফ: অনুগ্রহশীল, যার অনুগ্রহ তাঁর সকল বান্দাদের প্রতি বর্তে। (সূরা শূরা ১৯ আয়াত)।
- আল-মজিদ: গৌরবময়, যিনি প্রশংসার যোগ্য এবং যিনি গৌরবান্বিত। (সূরা হুদ ৭৩, ৭৬ আয়াত)।
- আল-মালিক: রাজা, যিনি রাজাদের রাজা। (সূরা হাশর ২৩ আয়াত)।
- আল-মুতাফাক্কির: রক্ষাকারী, যিনি যখন ইচ্ছা শাস্তি দেন ও রক্ষা করেন। (সূরা ইবরাহিম ৪২, ৪৩ আয়াত)।
- আল-মুমিন: বিশ্বস্ত, যিনি সকলের নিরাপত্তা বিধান করেন। (সূরা হাশর ২৩ আয়াত)।
- আল-মুতালি: যিনি আত্মোন্নত, নিজেকে উতি উচ্চে স্থাপন করেন। (সূরা রা’দ ৯, ১০ আয়াত)।
- আল-মুতাকাব্বির: গৌরবান্বিত, কাজের মধ্যেই যার গৌরব। (সূরা হাশর ২৩ আয়াত)।
- আল-মতিন: দৃঢ়, যিনি পদমর্যাদা এবং শক্তির দিক থেকে সুদৃঢ়। (সূরা যারিয়াত ৫৮ আয়াত)।
- আল-মুবদি: সৃষ্টিকারী, যিনি সৃষ্টি করেন এবং রক্ষা করেন। (সূরা বুরুজ ১৩ আয়াত)।
- আল-মুজিব: উত্তর দানকারী, যিনি বান্দাদের ডাকে সাড়া দেন। (সূরা হুদ ৬১, ৬৪ আয়াত)।
- আল-মুহ্সি: গনণাকারী, যিনি সবকিছু গণনা করে হিসাব রাখেন। (সূরা মারইয়াম ৯৪ আয়াত)।
- আল-মুহাইয়ী: শীঘ্রকারী, যিনি শীঘ্র করেন এবং মৃতকে জীবন দেন। (সূরা রূম ৫০ আয়াত)।
- আল-মুধিল: দমনকারী, যিনি তাঁর ইচ্ছানুয়ী কাউকে সম্মানিত করেন এবং কাউকে দমন করেন। (সূরা আল-ইমরান ২৬ আয়াত)।
- আল-মুজিল: পৃথককারী, যিনি মানুষকে অপদেবতা এবং তাদের পূজাপার্বন থেকে পৃথক করেন। (সূরা ইউনূস ২৮-২৯ আয়াত)।
- আল-মুসাউয়ীর: সৌন্দর্যপিপাসু, যিনি তাঁর সৃষ্টিকে মনের মতো করে সাজান। (সূরা হাশর ২৪ আয়াত)।
- আল-মুইদ: সংগ্রহকারী / রক্ষাকারী, যিনি উৎপন্ন করেন এবং সুরক্ষা করেন। (সূরা বুরুজ ১৩ আয়াত)।
- আল-মুঈজ: সম্মানদানকারী, যিনি নিজ ইচ্ছানুযায়ী সম্মান দেন কিংবা অপমান করেন। (সূরা আলে-ইমরান ২৮ আয়াত)।
- আল-মুতি: দাতা, যার হাত থেকে সবকিছু আসে। (সূরা তাহা ৫০, ৫২ আয়াত)।
- আল-মুঘনি: ধনীকারী, যিনি তাঁর ধনভাণ্ডার থেকে মানুষকে ধনবান করেন। (সূরা তাওবা ৭৪-৭৫ আয়াত)।
- আল-মুকিত: যিনি সুশোভিত, সবকিছুর উপরে আপন শক্তিবলে সাজানো গুছানো। (সূরা নিসা ৮৫, ৮৭ আয়াত)।
- আল-মুকতাদির: ফলপ্রসূ, যিনি মন্দ লোকদের তার শক্তিবলে কাবু করেন। (সূরা কামার ৪২ আয়াত)।
- আল-মুকাদ্দিম: সামনে আনয়নকারী, যিনি আগেই তাঁর প্রতিজ্ঞা পাঠিয়ে দেন। (সূরা কা’ফ ২৮ আয়াত)।
- আল-মুকসিত: ন্যায়বিচার পর্যবেক্ষণকারী, যিনি ন্যায়বিচারের সমতা আনবেন। (সূরা আম্বিয়া ৪৭-৪৮ আয়াত)।
- আল-মুমিত: জীবনমৃত্যুময়, যেভাবে তিনি জীবনের কারণ সেভাবে তিনি মৃত্যুরও কারণ। (সূরা হিজর ৩২ আয়াত)।
- আল-মুনতাকিম: শাস্তি দানকারী, যিনি দুষ্টদের ও পাপীদের দমন এবং শিষ্টের তথা ঈমানদারগণের লালন করেন (৩০:৪৭)।
- আল-মুহাইমিন: উপস্থাপনকারী, সবকিছুর উপর যার সতর্ক দৃষ্টি। (সূরা হাশর ২৩ আয়াত)।
- আর-রশিদ: পথপ্রদর্শক, যিনি ঈমানদারগণকে সঠিক মনোভাব নিয়ে চলতে সাহায্য করেন। (সূরা হুদ ৮৭, ৮৯ আয়াত)।
- আর-রহমান: দয়ালু, যারা দয়া দেখায় তাদের মধ্যে সবচেয়ে দয়ালু। (সূরা ফাতিহা ৩, ১২:৬৪ আয়াত)।
- আর-রউফ: ভদ্র, যিনি তাঁর লোকদের প্রতি মমতা করেন। (সূরা বাকারা ১৪৩ আয়াত)।
- আর-রাহিম: করুণাময়, যিনি ভদ্র এবং করুণার আধার। (সূরা ফাতিহা ৩, ২:১৪৬ আয়াত)।
- আর-রাজ্জাক: যোগানদাতা, যিনি যোগান দেন কিন্তু কোন সুযোগ খোঁজেন না।
- আর-রাফি: উচ্চে উত্তোলনকারী, যিনি কাউকে দমন করেন এবং কাউকে উঁচু পদে বসান। (সূরা হূদ ৮৩ আয়াত)।
- আর-রাকিব: দর্শক, যিনি তাঁর সৃষ্টিকে দেখাশোনা করেন। (সূরা মায়িদা ১১৭ আয়াত)।
- আস-সালাম: শান্তি স্থাপনকারী, যার নাম হলো শান্তি। (সূরা হাশর ২৩ আয়াত)।
- আস-সামি: শ্রোতা, যিনি সব দেখেন ও শোনেন। (সূরা বনি-ইসরাইল ১ আয়াত)।
- আশ-শাকুর: কৃতজ্ঞ, যিনি তাঁর লোকদের সেবা আনন্দের সাথে গ্রহণ করেন। (সূরা তাগাবুন ১৭ আয়াত)।
- আশ-শহিদ: সাক্ষী, যিনি সবকিছুর সাক্ষী (সূরা মায়িদা ১১৭ আয়াত)।
- আস-সবুর: ধৈর্যশীল, যিনি তাঁর লোকদের প্রতি অতিশয় ধৈর্য ধারণ করেন।
- আস-সামাদ: অনন্তকালস্থায়ী, যিনি জন্মপ্রাপ্ত নন, যিনি কাউকে জন্ম দেন না। (সূরা ইখলাস ২ আয়াত)।
- আদ-দ্বার: সুদৃঢ়কারী, যিনি সুদৃঢ় করেন ও আশীর্বাদ দেন। (সূরা ফাত্হ ১১ আয়াত)।
- আজ-জাহির: বাহির, যিনি বাহির এবং ভিতর উভয় দেখাশোনা করেন। (সূরা মুহম্মদ ৩ আয়াত)।
- আল-আদল: ন্যায়পরায়ণ, যার কথা যথার্থতার দিক থেকে খাঁটি এবং ন্যায়পরায়ণ। (সূরা আন্’আম ১১৫ আয়াত)।
- আন-নাসির: সাহায্যকারী, সাহায্যকারী হিসাবে তিনিই যথেষ্ট। (সূরা নিসা ৪৫, ৪৭ আয়াত)।
- আন-নুর: আলো, যিনি বেহেস্ত এবং দুনিয়াকে আলোকিত করেন। (সূরা নুর ৩৫ আয়াত)।
- মালিক-আল-মুল্ক: রাজ্যের অধিকারী, যিনি যাকে ইচ্ছা সার্বভৌমত্ব দান করেন। (সূরা আল-ইমরান ২৬ আয়াত)।
- ধুল-জালাল-ওয়াল-ইকরাম: মহামান্য ও সম্মানিত প্রভু। (সূরা রাহমান ২৭ আয়াত)।
ইসলামে আল্লাহ নামটি তাঁর ব্যক্তিগত নাম যা প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে। ইসলমি চিন্তাবিদদের মতে এটি আল্লাহর বেহেস্তি নাম, যার সাথে হজরত ইব্রাহিম, হজরত মুসা এবং হজরত দাউদের আল্লাহর নামের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। কোন কোন ইসলামি চিন্তাবিদের মতে, আল্লাহ শব্দটি আরবি “ইলাহা” মূল ধাতু থেকে এসেছে। আরো এগিয়ে গেলে ইলাহা শব্দটি হিব্রু এল বা এলোহিম থেকে এসেছে। এই শব্দগুলো প্রত্যেকটিতেই আল্লাহ নামের প্রতিধ্বনি পাওয়া যায়। অতএব, ইসলামের আল্লাহর সাথে ঈসায়ীদের আল্লাহর সাধারণত কোন পার্থক্য নেই। তবে আল্লাহর ধার্মিকতার দিক বিশ্লেষণ করলে, আল্লাহ সম্পর্কে ঈসায়ীদের ঈমানের দিক থেকে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।