সংক্ষিপ্ত উত্তর:
ইঞ্জিল সম্পর্কে কোরান ভালো শিক্ষা দেয়।
ব্যাখ্যামূলক উত্তর:
কোরান শরিফ প্রায় ৬১০ খ্রিস্টাব্দের পরে নাজেল হতে শুরু করে। এই সময় সমাজে তাওরাত, জবুর ও নবিদের কিতাব পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যেতো ও মানুষ তা ব্যবহার করতো। কোরান শরিফের আগে ইঞ্জিল শরিফই নাজেল হয়েছিল। তাই সেই কিতাব আরো বেশি পরিমাণে ছিল। ফলে এই কিতাবের কথা বলা আরো সমীচীন ছিল। তাই আল্লাহ কোরানে সন্দেহবাদীদের উত্তর দেবার জন্য হজরত মুহম্মদকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, “আমি তোমার প্রতি যাহা অবতীর্ণ করিয়াছি উহাতে যদি তুমি সন্দেহ পোষণ করে থাকো তবে তোমার পূর্বের কিতাব যাহারা পাঠ করে তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা কর; তোমার প্রতিপালকের নিকট হইতে তোমার নিকট সত্য অবশ্যই আসিয়াছে। তুমি কখনও সন্দিগ্ধচিত্তদের অনন্তর্ভুক্ত হইও না” (সুরা ইউনুস ৯৪ আয়াত)।
ইঞ্জিল শরিফের গ্রহণযোগ্যতা ছিল প্রশ্নাতীত। হজরত ঈসা ও ইঞ্জিল শরিফ সম্পর্কে তাই আরো স্পষ্ট করে কোরানে বলা হয়েছে। লেখা আছে, “মারইয়াম-তনয় ঈসাকে তাহার পূর্বে অবতীর্ণ তাওরাতের সমর্থকরূপে উহাদের পশ্চাতে পেরণ করিয়াছিলাম এবং তার পূর্বে অবতীর্ণ তাওরাতের সমর্থকরূপে এবং মুত্তাকিদের জন্য পথের নির্দেশ ও উপদেশরূপে তাহাকে ইঞ্জিল দিয়াছিলাম; উহাতে ছিল পথের নির্দেশ ও আলো (সুরা মায়িদা ৫৬ আয়াত)।
অতএব, এ আয়াতগুলো থেকে বোঝা যায়, কোরানের শিক্ষানুসারে আগের কিতাবগুলোকে সন্দেহ করা উচিত নয় বরং মানুষের জন্য তা সত্য এবং আলো হিসাবে গ্রহণ করা উচিত।